বছর পাঁচেক আগে এক বাংলাদেশি মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কার্তুজকাণ্ডে ধৃত জয়ন্ত দত্ত। কলকাতায় ওই মহিলার সঙ্গে ‘লিভ-ইন’ও করতেন। সেই সময়েই কার্তুজ পাচারে জয়ন্তের হাতেখড়ি হয়। এমনটাই দাবি করলেন তাঁর স্ত্রী সোমা দত্ত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর এলাকার বাসিন্দা হাজি রশিদ মোল্লার বাড়িতে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। বাড়ির ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়। বাড়ির মালিক-সহ আরও তিন জনকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হল হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি এবং শান্তিপুরের জয়ন্ত। ধৃত জয়ন্ত আবার বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিপণিতে কর্মরত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অর্থের বিনিময়ে ওই বিপণি থেকে অস্ত্র পাচার করতেন জয়ন্ত। সন্দেহের নিরসন করতে শনিবার ওই বিপণিতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
তদন্তকারীদের দল শান্তিপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেচুমিয়ার বাড়িতেও হানা দিয়েছে। সেখানে জয়ন্তের স্ত্রী এবং মেয়ে থাকেন। এক বিধবা দিদিও রয়েছেন। জয়ন্তের স্ত্রী জানান, স্বামীর গ্রেফতারি এবং অস্ত্র ব্যবসায় তাঁর ‘যোগ’ সবটাই তিনি জেনেছেন সংবাদমাধ্যম থেকে। বিয়ের কিছু দিন পরেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জয়ন্ত। বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর। কলকাতায় ওই মহিলার সঙ্গে থাকার সময়েই জয়ন্ত কার্তুজ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী।
সোমা বলেন, ‘‘প্রায় বছর দেড়েক হল শান্তিপুরের বাড়িতে আসেনি। তবে দিন সাতেক আগে ফোন করেছিল। জয়ন্ত বলেছিল, ও রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কাজ করে।’’
রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘জেলা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তথ্য আদানপ্রদান করে তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’