অবসাদ বা ডিপ্রেশনে যাঁরা ভুগছেন, অনেক সময় তাঁরা টেরই পান না অসুখ কতটা গভীর। বিশ্ব জুড়ে দুই-তৃতীয়াংশ মনোরোগীর ক্ষেত্রেই হতাশার মতো অসুখকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। পরিজনেরা বিষয়টি উড়িয়ে দেন। এর পরিণাম মারাত্মক হতে পারে। প্রিয়জন বিয়োগ, খারাপ নম্বর, সম্পর্কে গুরুত্ব না পাওয়া, দাম্পত্য সম্পর্কে অবনতি, অপরাধ বোধ, দীর্ঘ অসুস্থতা, নানা কারণ থেকে ডিপ্রেশন হয়।
গবেষণা বলছে পুরুষের তুলনায় মেয়েদের বেশি গ্রাস করে হতাশা। মেনোপজের পরে হরমোনঘটিত সমস্যাও তার কারণ।
ডিপ্রেশন সহজে বোঝা যায় না। কিছু ভাল না লাগা, ঘুম না হওয়া বা সব সময় ঘুম ঘুম পাওয়া, খিদে না পাওয়া বা অত্যধিক খাওয়া, খিটখিটে মেজাজ, পুরনো কথা ভেবে কান্নাকাটি, মনোনিবেশ করতে না পারা, সহজ কাজও করতে না পারা ইত্যাদি হতাশার লক্ষণ। এই সব উপসর্গের দু’টি বা তিনটি একসঙ্গে একমাসের বেশি কারও মধ্যে দেখা গেলে তিনি অবসাদে ভুগছেন। সকালবেলাটা কখনওই ভাল লাগবে না। পছন্দের জিনিসেও অনীহা আসবে।
হতাশাকে হারাতে চাই মনের জোর, ধৈর্য, আর প্রিয়জনের সাহচর্য। হইচই, গল্প-গানের মধ্যে দিয়ে মন ভাল রাখুন। হতাশাগ্রস্ত মানুষটিকে বোঝান তিনি সবার কাছে কত মূল্যবান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হতাশা যেহেতু মস্তিষ্কের chemical disorder, এতে ওষুধ চমৎকার কাজ করে। এখন deep brain stimulation (DBS) নামে নতুন এক চিকিৎসা পদ্ধতি সীমিত ভাবে হলে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা খুবই ফলদায়ী।
সাক্ষাৎকার
দেবাঞ্জনা ভট্টাচার্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy