—প্রতীকী চিত্র।
পরিসংখ্যানের দিক থেকে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। কিন্তু তাতে যে উদ্বেগ কমে গিয়েছে, এখনই তা বলতে নারাজ চিকিৎসকেরা। আরও কিছু দিন পর্যবেক্ষণের পরে তবেই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে নির্দিষ্ট মন্তব্য করা ঠিক হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, চলতি মরসুমে, অর্থাৎ গত জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০৯৩। দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৯৫ জন। অর্থাৎ, প্রায় দেড় হাজার কম। যা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হচ্ছে, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের হার কমছে। কিন্তু এখনই বিষয়টি দেখে উচ্ছ্বসিত না হওয়ার কথাই বার বার করে বলছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, তাঁদের মতে, একটি সপ্তাহ দেখে বিচার করা উচিত নয়। শীতের শুরু থেকে ডেঙ্গির প্রকোপ ধীরে ধীরে কমবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কমতে শুরু করেছে, এমনটা বলতে হলে কয়েক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে মোট যত জন আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে শুধু দক্ষিণবঙ্গের ১৬টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়েই আক্রান্ত ৮৩ হাজার। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে তালিকার এক নম্বরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তার পরে রয়েছে কলকাতা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। তবে, এই তিন জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা শেষ এক সপ্তাহে কমেছে। তিন জেলাতেই এক সপ্তাহে আক্রান্ত এক হাজারের নীচে রয়েছে।
সংক্রামক রোগের এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আরও জাঁকিয়ে শীত না পড়লে ডেঙ্গি পুরো নিয়ন্ত্রণে এসেছে, এটা বলা যায় না। এখন কিছু দিন সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।’’ পরীক্ষার অনুপাতে ডেঙ্গির পজ়িটিভিটি রেট আরও কমলে তবেই তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা ঠিক হবে, এমনই মত মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদারের। স্বাস্থ্যকর্তারাও মনে করছেন, আর বৃষ্টি না হলে এবং জাঁকিয়ে শীত পড়লেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy