দুর্গাপুর ‘গণধর্ষণকাণ্ডে’ পঞ্চম অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার বেলার দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রবিবার রাতে চতুর্থ জনকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। সদ্য ধৃত এই দু’জনকে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক ন’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি ছাত্রী। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। রবিবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁদের ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরে রবিবার রাতে এবং সোমবার বেলার দিকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘নির্যাতিতা’ তাঁর বয়ানে পাঁচ জনের কথা বলেছিলেন। সেই হিসাবে অভিযুক্ত পাঁচ জনই গ্রেফতার।
আরও পড়ুন:
-
দুর্গাপুরের ঘটনায় গ্রেফতার পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী! ধৃত বেড়ে চার, খোঁজ চলছে শেষ অভিযুক্তের, সহপাঠী আটকই
-
অত রাতে কী ভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্রী? দুর্গাপুরকাণ্ডে প্রশ্ন মমতার, কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে টানলেন ওড়িশার তুলনাও
-
দুর্গাপুর: ধর্নামঞ্চ খুলতে আসায় পুলিশের সঙ্গে বিজেপির বিবাদ, পরে পৌঁছোলেন শুভেন্দু, সঙ্গে ‘নির্যাতিতা’র বাবাও
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এক সহপাঠী-বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় হাঁটছিলেন। সেই সময় অভিযুক্তেরা প্রথমে তাঁকে হেনস্থা করেন। তার পর তাঁকে রাস্তার পাশে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠী-বন্ধুর বিরুদ্ধে। সেই বন্ধুটিকে ‘আটক’ করে রেখেছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, সদ্য ধৃত দুই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে। তা মঞ্জুর হলে সকলকেই একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তা ছাড়া অভিযুক্তদের ডিএনএ পরীক্ষা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় ‘নির্যাতিতা’র সহপাঠী-বন্ধুর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর বয়ানের সত্যাসত্য যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।