আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে অভিযুক্ত রাখাল বেরা। —নিজস্ব চিত্র।
সেচ দফতরের আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে অভিযুক্ত রাখাল বেরা গ্রেফতার হতেই থানায় জমা পড়ছে একের পর এক নতুন অভিযোগ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখালকে রবিবার আদালতে তোলা হয়। আর এই দিনেই মানিকতলা থানায় জমা পড়েছে ৮-১০টি নতুন অভিযোগ।
শনিবার মানিকতলা থানার পুলিশই তাঁকে গ্রেফতার করে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাখালের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেন সুজিত দাস নামে অশোকনগরের এক বাসিন্দা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চালিয়ে রাখালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু মানিকতলা থানাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও বেশি কিছু থানায় রাখালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁকে দফায় দফায় জেরার পর পুলিশ কার্যত নিশ্চিত, প্রতারণা চক্র চালাতেন রাখাল এবং ওই কাজে কিছু সহযোগীও ছিল তাঁর। নাম উঠে আসে চঞ্চল নন্দী নামে একজন কাঁথির বাসিন্দা-সহ আরও কয়েকজনের। পুলিশ সূত্রে খবর, চঞ্চল এখন পলাতক। তিনি সেচ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, রাখাল ‘শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ’। তবে এই ঘনিষ্ঠতার কথা রাজ্য প্রশাসনের তরফে সরকারি ভাবে কোথাও জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy