Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Firhad Hakim

Firhad Hakim: পুর আধিকারিক ‘টাকা খেয়ে’ ভাঙছেন না অবৈধ নির্মাণ, অভিযোগ শুনে মেজাজ হারালেন ফিরহাদ

টাকা নিয়ে পুর আধিকারিক অবৈধ নির্মাণ ভাঙছেন না। এমন অভিযোগ শুনে মেজাজ হারান কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসন ফিরহাদ হাকিম।

পুর আধিকারিক টাকা নিয়েছেন, অভিযোগ শুনেই রেগে গেলেন ফিরহাদ হাকিম।

পুর আধিকারিক টাকা নিয়েছেন, অভিযোগ শুনেই রেগে গেলেন ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২১ ১৭:৫৮
Share: Save:

টাকা নিয়ে পুর আধিকারিক অবৈধ নির্মাণ ভাঙছেন না। এমন অভিযোগ শুনেই মেজাজ হারালেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। প্রতি সপ্তাহের মতো শনিবার ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের অভিযোগের কথা শুনছিলেন প্রাক্তন মেয়র। সেই অনুষ্ঠানেই একটি ফোন আসে ফিরহাদের কাছে। ফোনে এক ব্যক্তি নিজেকে পৃথ্বীরাজ লাহিড়ী নামে পরিচয় দেন। সঙ্গে জানান, তিনি কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর বরো-র বাসিন্দা তিনি। কলকাতা পুরসভার এই বরোটি যাদবপুর অঞ্চলে। অভিযোগের সুরে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমি কি কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে বিচার পাব না?’’

পুর প্রশাসকের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমার বাড়ির পাশেই একটি অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। পুরসভার কাছে একাধিক বার অভিযোগ করেও লাভ হয়নি।’’ ফিরহাদ জানতে চান, তিনি কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কি না। জবাবে ওই ব্যক্তি জানান, লিখিত ভাবে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। কারণ প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করেন, কলকাতা পুরসভার ওই বরো-র এক শীর্ষ আধিকারিক বেআইনি বিল্ডিং নির্মাণকারী প্রোমোটারের থেকে টাকা নিয়ে বাড়িটি ভাঙছেন না।

পুর প্রশাসনের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ শুনেই রেগে যান ফিরহাদ। অভিযোগকারী ব্যক্তিকে ক্রুদ্ধ স্বরে পুর প্রশাসক বলেন, ‘‘আপনি যে আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আপনার কাছে কোনও প্রমাণ আছে কি?’’ ফিরহাদের এমন প্রতিক্রিয়া শুনে চুপ করে যান ওই ব্যক্তি। এর পর প্রাক্তন মেয়র বলেন, ‘‘যদি আপনার কাছে প্রমাণ থাকে, তা হলে আমি ওই আধিকারিককে বরখাস্ত করব। কিন্তু কোনও প্রমাণ না থাকলে এমন হাল্কা অভিযোগ করবেন না। কারণ আপনি যে অভিযোগ করেছেন, তাতে আমার দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়।’’

তার পরেই উপস্থিত পুর আধিকারিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। অভিযোগকারী পৃথ্বীরাজকে উদ্দেশ্য করে ফিরহাদ জানান, এ বিষয়ে পুরসভাকে আইন মোতাবেক চলতে হবে। সে ক্ষেত্রে অভিযোগও আইনি পথেই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Firhad Hakim Kolkata municipality KMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE