ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় তিনি ছিলেন বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদা ও রোজ ভ্যালির আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তের দায়িত্বে। পরে বদলি হন। তদন্তে সহযোগিতার প্রশ্নে কাঠগড়ায় এ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র সেই প্রাক্তন অফিসারই। মনোজ সিংহ নামে ওই অফিসারকে ডেকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে ২০১৫ সালের মার্চে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ২০১৬-র জানুয়ারিতে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, গৌতমের দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডির তদন্তকারীরা যে-কললিস্ট সংগ্রহ করেছিলেন, ওই অভিযুক্তকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে তার হদিস পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, সারদা কাণ্ডেও ইডি-র কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পায়নি সিবিআই।
তদন্তকারীদের দাবি, রোজ ভ্যালির সঙ্গে যে-সব প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম তদন্তে উঠে এসেছে, গৌতমের মোবাইলের সূত্রে তাঁদের হদিস পাওয়া যেতে পারত। কিন্তু একাধিক বার মোবাইলের সেই কললিস্ট চেয়ে নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও ইডি-র কাছ থেকে তা পাওয়া যায়নি। ইডি-র সেই তদন্তের মূল দায়িত্বে ছিলেন মনোজ। তদন্ত চলাকালীন গৌতমের স্ত্রী শুভ্রার সঙ্গে মনোজের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। তাঁকে ইডি থেকে শুল্ক দফতরে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন: রং না দেখে কাজ, খোঁচা দিলীপের
এখন তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ আনা হচ্ছে মনোজের বিরুদ্ধে। শুভ্রার সঙ্গে মনোজের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠার পরে তার তদন্ত করেন ইডি-র উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা খতিয়ে দেখেন, রোজ ভ্যালিতে মনোজের তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট ছিল কি না। তবে মনোজের ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, তেমন কিছু ঘটে থাকলে ২০১৭ সালেই সেটা সামনে চলে আসত।
সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং সংস্থার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ফোন কলের তালিকা জমাই দেওয়া হয়নি বলে রাজ্য পুলিশের কর্তা তথা সারদা তদন্তে গঠিত ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্ত দলের অন্যতম মাথা রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিলংয়ে রাজীবকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজীবকে গ্রেফতার করার জন্য পরে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। আগাম জামিন নেন ওই পুলিশকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy