Advertisement
E-Paper

বিজেপির সাড়া না পেয়ে তৃণমূলে সায় বংশীবদনের

সপ্তাহ খানেক বিজেপি-কে চিঠি দিয়ে উপনির্বাচনে তাদের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষদের তরফে কোনও আশ্বাস না পেয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বংশীবদন বর্মন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩৯

সপ্তাহ খানেক বিজেপি-কে চিঠি দিয়ে উপনির্বাচনে তাদের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষদের তরফে কোনও আশ্বাস না পেয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বংশীবদন বর্মন।

বৃহস্পতিবার তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের পাশে বসে বংশীবদন বলেন,‘‘গত বিধানসভা ভোটেও আমরা তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলাম। তৃণমূল দারুণ সাফল্য পেয়েছে তাতে। এ বারও উপ-নির্বাচনে তৃণমূলকেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ রেণুকা সিংহের মৃত্যুতে ওই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী মাসে। এ বার বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলায় তৃণমূল ভাল ফল করলেও জেলায় বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে শাসক দল। তৃণমূলের অভিযোগ, গ্রেটার কোচবিহারের নারায়ণী সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএসএফ। এর পর বংশীবদনের মতো রাজবংশী নেতা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালে তৃণমূলের চিন্তার কারণ ছিল বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

মুকুল রায় এ দিন বলেন,‘‘তৃণমূল ওখানে একাই জেতার ক্ষমতা রাখে। কে সমর্থন দিল কে দিল না তার ওপর তৃণমূল নির্ভর করে না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মসূচির সঙ্গে কেউ নিজেকে জুড়তে চাইলে তাঁকে স্বাগত।’’ তাঁর কথায়, বংশীবদনরা রাজবংশীদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। শাসক দলের সঙ্গে থাকলে সেই উন্নয়নের প্রক্রিয়া ত্বরাণিত হবে আশা করেই তাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করছেন। তৃণমূলের আরও বক্তব্য, কোচবিহারে যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। তাঁদের রাজনীতির মূলস্রোতে আনার জন্য বংশীবদনের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, কামতাপুরিদের অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে বংশীর বনিবনা নেই। তা ছাড়া বিধানসভা ভোটেও বংশী তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। ওঁর বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবের কারণেই বিজেপি-তে সামিল করা হয়নি।

এ নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম-কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী স্পষ্টই বলেন, ‘‘তৃণমূল বরাবরই ভোটে জেতার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী ও উগ্রপন্থী শক্তির সঙ্গে সমঝোতা করে। যেমন কিষেণজির সঙ্গে আগে বন্ধুত্ব ছিল তাদের।’’ জেলার এক বাম নেতার দাবি, ‘‘বংশীবদন সংশোধনাগারে থাকার সময়ে মুকুলবাবু তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এ বার বংশীবদনই তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করলেন। এর পরে তৃণমূল আর বলতে পারবে না যে তাদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কোনও সম্পর্ক নেই।’’

Greater cooch behar people’s association tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy