কলকাতা হাই কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল শুনানি। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আগামী ১৬ জুলাই মামলাটি শুনবে হাই কোর্ট। এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য আবেদনগুলিও ওই দিনই শোনা হবে। রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। সেই মামলাও এই ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে আদালত অবমাননার মামলার সঙ্গেই শোনা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জয়েন্ট এন্ট্রাসে ভর্তির ক্ষেত্রে ওবিসির শ্রেণিবিন্যাস করা ছিল। ওবিসি এ এবং ওবিসি বি ভাগ করে ভর্তি নেওয়া হচ্ছিল। বিচারপতি চন্দ জানান, ২০২৪ সালের মে মাসে ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তা মেনেই ভর্তির প্রক্রিয়া করতে হবে। ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে যে রায় রয়েছে, তা মানতে হবে। রাজ্য সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। রাজ্যের বক্তব্য, জয়েন্ট এন্টান্সের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সেই রায় বার হওয়ার আগের মাসে। ২০২৪ সালের ২২ মে সেই রায় শোনানো হয়েছিল। রাজ্যের বক্তব্য, তার এক মাস আগেই জয়েন্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তারা। এখন বলা হচ্ছে, সেই রায় মানতে হবে। সেই কারণে তারা বিচারপতি চন্দের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করছে বলে জানিয়েছে।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘আগামী ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট খুলছে। ওবিসি নিয়ে আমরা আবেদন করেছি। যে দিন শীর্ষ আদালত খুলবে, সে দিন দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টে কী হয়, সেটা দেখা হোক।’’ এই সংক্রান্ত আবেদনও আগামী ১৬ জুলাই শুনবে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ২০২৪ সালের ২২ মে ওই নির্দেশ বহাল রেখে রায় দিয়েছিল আদালত। রায়ে বলা হয়, ২০১০ সালের আগে ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ। তার পর থেকে সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করা হচ্ছে। উচ্চ আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। মামলাটি এখন সেখানে বিচারাধীন।