Advertisement
E-Paper

এমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৭২ লক্ষ টাকা প্রতারণা, হুগলিতে পাণ্ডা-সহ গ্রেফতার চক্রের চার

পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও একাধিক দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপককে। এ বার কল্যাণী এমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রেফতার হলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৪
Police arrested 4 persons in connection with job fraud case

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণাচক্রের চার জন গ্রেফতার। — নিজস্ব চিত্র।

কল্যাণী এমস এবং রাজ্য সরকারের শিক্ষাবন্ধুর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৭২ লক্ষ টাকার প্ৰতারণা! চক্র পাকড়াও হুগলির হরিপাল থানার পুলিশের। প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই প্রতারণার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

কল্যাণী এমস এবং শিক্ষাবন্ধুর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হচ্ছে। গত বছর ডিসেম্বরে এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল হরিপাল থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর প্রতারণায় জড়িত গোটা একটি চক্র। গত ১৯ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থেকে বাপ্পা রাউথ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাপ্পাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর পুলিশ জানতে পারে দীপক দাস নামে এক ব্যক্তির নাম। দুর্গাপুর থেকে দীপককেও গ্রেফতার করে আনে হরিপাল থানার পুলিশ। এর পর দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরায় উঠে আসে আরও দু’জনের নাম। সেই অনুযায়ী তদন্ত করে পুলিশ তমলুক থেকে মহম্মদ বাশার এবং রানাঘাট থেকে সুপ্রিয় বিশ্বাস নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার হরিপাল থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কৃশানু রায় জানান, ধৃতেরা কল্যাণী এমস বা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দাবি করতেন চাকরিপ্রার্থী যুবক, যুবতীদের কাছে। সেই বিশ্বাস থেকেই চাকরিপ্রার্থীরা টাকা দিতেন। কিন্তু চাকরি মিলত না। এ ভাবে প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়। অভিযুক্তরা নিজেদের কল্যাণী এমসের কর্মী এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলে পরিচয় দিয়ে গোটা রাজ্যেই জাল বিছিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। শুধু হুগলি জেলা নয়, পুরো রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অভিযোগকারী হরিপালের বাসিন্দা শিবনাথ দের দাবি, ২০২১ সালে দীপকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নিজেকে রাজ্য সরকারের বড় আধিকারিক বলে দীপক নিজের পরিচয় দিতেন বলেও দাবি শিবনাথের। শিবনাথ তাঁর আত্মীয়দের কল্যাণী এমসে চাকরি করে দেওয়ার জন্য দীপক-সহ কয়েক জনকে টাকা দেন। এর পর তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু চাকরি হয়নি কারও। চার মাস পর শিবনাথ বুঝতে পারেন, তাঁর আত্মীয়েরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এর পর গত বছর ডিসেম্বরে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিবনাথ। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে এর আগেও একাধিক দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপককে।

arrest police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy