E-Paper

বালিকা অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত প্রতিবেশী 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মেয়েটির পেটে ব্যথা হয়। উপসর্গ দেখে বাড়ির লোকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, সে অন্তঃসত্ত্বা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে হুগলি জেলার এক গ্রামের বছর এগারোর এক বালিকা। তাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। নির্যাতিতাকে পাঠানো হয়েছে হোমে। মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ধৃতের বয়স সাঁইত্রিশ বছর। সে বিবাহিত। তার ৭ এবং ৪ বছরের দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে মেয়েটির সঙ্গে একই স্কুলে পড়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মেয়েটির পেটে ব্যথা হয়। উপসর্গ দেখে বাড়ির লোকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, সে অন্তঃসত্ত্বা। নিশ্চিত হতে শনিবার তাঁরা পূর্ব বর্ধমানের একটি ডায়াগন্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করান। তাতে জানা যায়, মেয়েটি দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, মাস দু’য়েক আগে ওই প্রতিবেশী বাড়ির পাশের একটি বাঁশবাগানে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল। ওই যুবককে মেয়েটি ‘জেঠু’ বলে ডাকে। ঘটনার কথা কাউকে যেন সে না বলে, মেয়েটিকে তা শিখিয়ে দেয় অভিযুক্ত। সেই কারণে ভয়ে বাড়ির কাউকে কিছু জানায়নি ওই বালিকা।

পুলিশ জানায়, শনিবার নির্যাতিতার মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ৩৭৬ এ বি এবং পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস বা শিশুদের উপরে যৌন অপরাধ প্রতিরোধে আইন) আইনের আইনের ৬ (১) নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়। ওই সন্ধ্যাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রামীণ হাসপাতালে মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। রবিবার আদালতের নির্দেশে জেলার বড় হাসপাতালে ফের তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। সব জায়গাতেই মেয়েটির গর্ভাবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। হাসপাতালে ধৃতেরও মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।

মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, শনিবার তাঁরা অভিযুক্তকে ধরলে সে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই প্রস্তাবে তাঁরা সম্মত হননি। তিনি বলেন, ‘‘আমার ওইটুকু মেয়ের সঙ্গে যে অপরাধ সে করেছে, ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই আমরা।’’ অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা কিছুই জানি না। শনিবার স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই পুলিশ স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে জানতে পারি, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ হয়েছে। আমার স্বামী এই কাজ করতে পারে, বিশ্বাস হচ্ছে না। এ সব কী হয়ে গেল!’’

হোমে নির্যাতিতার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই বালিকার বাবা চাষ করেন। পরিবারের অবস্থা খুব একটা সচ্ছল নয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rape Hooghly

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy