নিকাশি ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। বৃষ্টি হলেই জল জমে স্কুলের মাঠে। ফলে, বর্ষায় খেলা মাথায় ওঠে বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ২ পঞ্চায়েতের খোট্টাপাড়া প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের। প্রধান শিক্ষক হরেরাম দাস জানান, স্কুল চত্বরে নিকাশি নালা না থাকায় মাঠেই জল দাঁড়ায়। সীমানা পাঁচিল নেই। অনেকেই মাঠে সাইকেল, মোটরবাইক, টোটো-অটো রাখেন। ফলে, কাদা বেশি হয়। জল জমে স্কুলের পাশের রাস্তাতেও। গ্রামবাসী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং খুদে পড়ুয়াদের চলাচল করতে হয় জল পেরিয়েই।
স্কুলে জলের সমস্যাও রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকেরা জানান, স্কুলে একটি নলকূপ থাকলেও সেটির জল ঘোলাটে। মুখে তোলা যায় না। বাচ্চাদের হাতে জলের বোতল পাঠিয়ে দেন অভিভাবকেরা। মিড-ডে মিল রান্নার জল দূর থেকে আনতে হয়। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমি সবে যোগ দিয়েছি স্কুলে। এর আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে অনেক বার জানিয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে ব্লক প্রশাসনের তরফে নলকূপ পরিষ্কার করা করেছে। তবে, তাতে জলে হেরফের কিছু হয়নি। প্রশাসনের কাছে আর্জি, নিকাশি এবং পানীয় জলের সমস্যার দ্রুত সমাধান করুক।’’ একই বক্তব্য অভিভাবকদের অনেকের।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই নিকাশি নালা নিয়ে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, বিডিও-কে জানানো আছে। হচ্ছে কই!’’ পঞ্চায়েত প্রধান রথীন দাস বলেন, ‘‘শুনেছি। বিষয়গুলি দেখা হবে।’’ হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)