দিল্লিতে পুরস্কার নিচ্ছে চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্র সচিন মান্না। — নিজস্ব চিত্র।
জলভরা সন্দেশের ছবি এঁকে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান পেল চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সচিন মান্না। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল ওই প্রতিযোগিতা। তাতেই সাফল্য পেয়েছে বাংলার সচিন। সম্প্রতি দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার।
চলতি বছরের ১২ মার্চ হয়েছিল ওই প্রতিযোগিতা। ‘ফুড হেরিটেজ’ বিষয়ে পোস্টার তৈরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল সচিন। আলোর শহর চন্দননগর বিখ্যাত জলভরা সন্দেশের জন্যও। হুগলি জেলার ওই শহরের সেই বিখ্যাত মিষ্টিকেই পোস্টারের বিষয়বস্তু করেছিল সচিন। কী ভাবে জলভরা সন্দেশ তৈরি হল সেই ইতিহাস সে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছিল রং-তুলি দিয়ে। প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে অর্থাৎ ‘হুগলি চ্যাপ্টার’-এ দ্বিতীয় স্থান পায় সচিনের তৈরি সেই পোস্টার। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ধাপেও সাফল্য পেয়েছে চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্র। দেশের একশোটি শহরের নয় হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে পঞ্চম স্থান পেয়েছে তার আঁকা পোস্টার। নিজের সাফল্যে উৎফুল্ল সচিন। তার কথায়, ‘‘আমার আঁকা পোস্টার পুরস্কার পাবে ভাবিনি। তবে নিজের এলাকার ঐতিহ্যের কথা গোটা দেশকে জানাতে পেরেছি, এটা ভেবেই খুব ভাল লাগছে।’’
সচিনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ওই প্রতিযোগিতার জন্য সচিনকে সাহায্য করেছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শীর্ষেন্দু ঘোষাল,সহকারী শিক্ষক মণীশ পাণ্ডা এবং শুভাশিস দেবনাথ। শীর্ষেন্দুর কথায়, ‘‘জলভরা সন্দেশ নিয়ে পোস্টার তৈরি করে গোটা দেশকে ‘মিষ্টি বার্তা’ দিয়েছে আমাদের ছাত্র সচিন। এই বয়স থেকেই অনেক লড়াই করতে হচ্ছে ওকে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে ও আরও সাফল্য অর্জন করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy