রাস্তায় রেখে দেওয়া টোটোর সিটে এসে রাতে শুয়ে থাকত এলাকার কয়েকটি কুকুর। তাতেই আপত্তি ছিল টোটোচালকের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সারমেয়গুলিকে বার বার মারধর করে, তাড়িয়েও সমস্যার সমাধান করতে পারেননি তিনি। বিশেষত, বৃষ্টির দিনে কুকুরগুলি আশ্রয় নিত ওই টোটো দু’টিতে। শুক্রবার সকালে এমনই একটি কুকুরকে টোটোর পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দু’টি টোটো মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে, সিটে তারের জাল পেতে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টহয়ে মারা গিয়েছে ওই কুকুরটি। অন্য দু’টি কুকুর অল্প আহত হওয়ায় তাদের পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এ দিনই রাতে অভিযুক্ত টোটোচালককে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার এক বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার দানেশ শেখ লেন সরকারি আবাসনে দু’টি টোটোর পাশে একটি পথকুকুরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা নিলয় চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘ওদের প্রাণে মারার জন্য টোটোর সিটে লোহার তারের জাল বিছিয়ে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি কুকুর মারা গিয়েছে। দু’টি আহত হয়েছে। আমি পুলিশকে বলেছি আইনানুগ পদক্ষেপ করার জন্য।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘মৃত কুকুরটির এ দিন সরকারি পশু হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয়েছে। তার রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)