Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Anis Khan Death Mystery

Anis Khan Death mystery: আনিস-কাণ্ডের পর কি আর কেউ পুলিশি তদন্তে বিশ্বাস করবে? রাজ্যকে প্রশ্ন কোর্টের

মঙ্গলবার আনিসের মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে। তবে শুনানি শেষ হলেও আদালত কোনও রায় দেয়নি। বরং প্রশ্ন করেছে রাজ্যকে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২২ ১৬:৫৩
Share: Save:

আনিস খান হত্যা মামলা শুনানি শেষ হল কলকাতা হাই কাের্টে। তবে শুনানি শেষ হলেও আদালত রায় দেয়নি। বরং আনিসের ঘটনাটি নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, একটি মামলায় শুধু পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। এর পরও কি পুলিশের তদন্তের উপর রাজ্যের মানুষের আস্থা থাকবে?

বস্তুত, মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীনই বার বার আনিস-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। প্রথমেই, আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে, আনিস সংক্রান্ত ঘটনা প্রবাহের সূত্রপাত এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পাঠানো মোবাইল বার্তা থেকে। অন্তত তেমনই অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতীয়ত, যেহেতু মূল অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই, তাই এর নেপথ্যে কোনও বড় ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তৃতীয়ত, আনিসের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, এক থানার মামলায় অন্য থানার পুলিশ গিয়েছে অভিযান চালাতে। সেই প্রক্রিয়াও ত্রুটিপূর্ণ। এর পরই আদালত বলে, কোন পদমর্যাদার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। চিন্তার বিষয় হল, অভিযোগ একমাত্র পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠেছে। রাজ্যকে আদালতের প্রশ্ন, এর পরও কি পুলিশের তদন্তে সাধারণ মানুষ বা অভিযুক্তের পরিবার বিশ্বাস রাখবে?

আনিস মামলায় আদালতের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য অবশ্য জানিয়েছে, পুলিশের তদন্তে বিশ্বাস না রাখার কোনও কারণ নেই। সত্য উদ্ঘাটনের সব চেষ্টা রাজ্য করছে, সিট গঠন করা হয়েছে। বরং অভিযোগকারী আনিস খানের বাবা সালেমের অভিযোগেই গোলমাল ছিল। অভিযোগপত্রটি তিনি নিজে লেখেননি। পরে যখন সেটি তাঁকে পড়ে শোনানো হয়, তিনি বলেন অভিযোগের অনেক কথাই তিনি বলেননি। পুলিশ জানিয়েছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের তদন্তকারীদের ওপর অনাস্থার কোন কারণ নেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE