অন্যান্য দিনের সঙ্গে কোনও ভাবেই মিলছে না শনিবারটা। খাঁ খাঁ করছে হুগলির ব্যান্ডেল জংশন। মফস্সলের লাইফলাইন আপাতত বিপর্যস্ত। শনিবার তারই শুরু। সেইসঙ্গে শুরু যাত্রী দুর্ভোগেরও।ব্যান্ডেল বন্ধ। তবে চুঁচুড়া থেকে কিছু ট্রেন চলছে হাওড়া অভিমুখে। ত্রিবেণী থেকে ট্রেন চলছে কাটোয়া অভিমুখে আর খন্যান থেকে ধরতে হচ্ছে বর্ধমান জংশনের ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে এত দিন ব্যান্ডেলের মতো এতটা সচকিত না হয়ে কাটানো স্টেশনগুলো আচমকাই জেগে উঠেছে বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের পায়ের শব্দে। সেইসঙ্গে খুলে গিয়েছে একটি ভিন্ন দিকও। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের জন্য ব্যান্ডেলের রেল পরিষেবা কিছুটা বেসামাল হতেই ঝোপ বুঝে কোপ মারতে শুরু করেছেন টোটোচালকরা। তাতে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও কয়েক গুণ বেড়েছে বই কমেনি।
এই যেমন চুঁচুড়া স্টেশন থেকে টোটোয় চড়ে বাস স্ট্যান্ড যেতে লাগে ১০ টাকা। এখন সেটাই কোনও টোটোচালক হাঁকছেন ২০ টাকা, কেউ বা আবার ৩০-৪০। আবার খন্যান বা ত্রিবেণী স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে অটো-টোটো বদলে চুঁচুড়ায় পৌঁছতেও গুনতে হচ্ছে অনেক বেশি ভাড়া। সেই অসুবিধার কথাই বললেন ত্রিবেণী স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা শতদ্রু পাল নামে এক যাত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এতে অসুবিধা হচ্ছে। খরচও কয়েক গুণ বেড়েছে। কারণ টানা কোনও গাড়ি নেই। ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। আর টোটো ভাড়া আচমকাই যেন দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে।’’
মুনমুন দত্ত নামে চুঁচুড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রীরও একই সুর। তিনি বলছেন, ‘‘এই ক’দিন ব্যান্ডেল বন্ধ থাকবে। তাতে হয়তো পরবর্তী কালে ভালই হবে। কিন্তু কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। গতকাল ১০ টাকায় যে রাস্তা গিয়েছিলাম আজ তার জন্য দিতে হল ৩০ টাকা। কাকে অভিযোগ করব!’’