Advertisement
০৪ মে ২০২৪
CNG from Degradable waste

পচনশীল বর্জ্য থেকে সিএনজি প্রকল্প তৈরি হবে চন্দননগরে

পুরকর্তারা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই প্রকল্প নিয়ে জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি’র সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকেই প্রকল্পের চূড়ান্ত রূপারেখা তৈরি হয়।

চন্দননগর পৌরসভা।

চন্দননগর পৌরসভা। —ফাইল চিত্র।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 
চন্দননগর শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:২৯
Share: Save:

বাড়ি বাড়ি সংগৃহীত পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব গ্যাস তৈরি করতে চলেছে চন্দননগর পুরসভা। এ জন্য তারা সিএনজি (কমপ্রেসেড ন্যাচারাল গ্যাস) প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেড়ে চলা বায়ুদূষণে রাশ টানতে গাড়িতে এই গ্যাসের ব্যবহার অবশ্য অনেক দিন ধরেই চলছে। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ইতিমধ্যেই মিলেছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

পুরকর্তারা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই প্রকল্প নিয়ে জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি’র সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকেই প্রকল্পের চূড়ান্ত রূপারেখা তৈরি হয়। এর পরেই রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা (স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা সুডা) ওই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য এই কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ এমন দু’টি সংস্থা ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পের কাজে প্রয়োজনীয় পচনশীল বর্জ্য পেতে চন্দননগরের পাশাপাশি হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা এবং আশপাশের কয়েকটি পঞ্চায়েতকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের জন্য প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ টন পচনশীল বর্জ্য লাগবে। মেয়র রাম চক্রবর্তী জানান, পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাজরায় ৫ একর জমিতে ওই প্রকল্প তৈরি হবে। ওই জমিতে এক সময় পূর্ত দফতরের গুদাম ছিল। প্রকল্পের প্রয়োজনে ভূমি দফতর জমিটি ইতিমধ্যেই পুরসভাকে হস্তান্তর করেছে। যে সংস্থাকে এই প্রকল্পের কাজে চূড়ান্ত ভাবে ঠিক করা হবে, তারাই প্রকল্পের ব্যয় বহন করবে।

পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের কাজ পুরোটাই আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর। প্রকল্পের দায়িত্ব কাদের দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটিই আগ্রহীদের মধ্যে থেকে যোগ্যতম সংস্থাকে বেছে নেবে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দু’টি সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে।’’

বায়ুদূষণ কমাতে পরিবেশবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই গাড়ি এবং অন্যান্য প্রয়োজনে পেট্রল-ডিজ়েলের উপরে নির্ভরতা কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন। দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক। কলকাতাতেও বায়ুদূষণ গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। বিকল্প হিসেবে গাড়িতে সিএনজি ব্যবহারের কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দিল্লিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার হচ্ছে। কলকাতা-সহ এ রাজ্যেও সেই প্রবণতা বাড়ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে সিএনজি ভরার পরিকাঠামো তৈরিতে হাত দিয়েছে রাজ্য সরকার। গাড়িতে ওই গ্যাস ভরার প্রকল্প চালু হয়েছে হুগলির আরামবাগে সরকারি বাস স্ট্যান্ডেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandannagar Municipality CNG
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE