মাদককাণ্ডে অভিযুক্ত টোটোন বিশ্বাস। ফাইল চিত্র ।
টোটোন বিশ্বাসকে হাসপাতাল চত্বরে বুকে গুলি মারার ঘটনায় গ্রেফতার মোট পাঁচ জন। সোমবার চার অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি এবং এক জন অভিযুক্তকে কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার টোটোনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর ওই দিনই হুগলি থেকে ট্রেনে চেপে কাটোয়া চলে যায় অভিযুক্ত বাবু পাল ও তাঁর সঙ্গীরা। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্তেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছিল।
পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইল ট্র্যাক করে কাটোয়া পৌঁছলেও তাঁদের ধরতে পারেনি। পরে সূত্রে মারফত অভিযুক্তদের উত্তরবঙ্গে লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একটি দল। এসিপি ডিডির নেতৃত্বে তদন্তকারীরা হানা দেয় জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন বাবু-সহ চার অভিযুক্ত। মঙ্গলবার ভোরবেলা তাঁদের চুঁচুড়া থানায় নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে মন্টু চৌধুরী নামে অন্য এক অভিযুক্তকে কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শনিবার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে মাদক মামলায় অভিযুক্ত টোটনকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে বুকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করার পর চুঁচুড়া থেকে কলকাতায় রেফার করা হয় টোটনকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে স্ট্রেচারে শুয়ে গুলিবিদ্ধ টোটন অভিযোগ করেন, ‘‘বাবু পাল গুলি করেছে। ও ছেলে পাঠিয়েছে। আমি এর বদলা নেবই। আমি কিছুই করিনি।’’ এরপরই পুলিশ বাবু পালের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টোটনের এক সময়কার সহযোগী ছিলেন বাবু। পরে টোটনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy