E-Paper

বিষ্ণু খুনে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল

মামলায় বিশাল-সহ ধৃত কেউই জামিন পায়নি। জানা গিয়েছে, বিচার প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই সাক্ষগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩৯
বিষ্ণু মাল হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত বিশালের ফাঁসির দাবীতে প্রতিবাদ মিছিল আদালত চত্বরে।

বিষ্ণু মাল হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত বিশালের ফাঁসির দাবীতে প্রতিবাদ মিছিল আদালত চত্বরে। সোমবার চুঁচুড়ায়।

সাড়ে তিন বছর আগে নৃশংস ভাবে খুন হয়ে যান চুঁচুড়ার রায়বেড়ে এলাকার বিষ্ণু মাল নামে এক যুবক। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। চুঁচুড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস দলবল নিয়ে ওই যুবককে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মামলার বিচার পর্ব চলছে চুঁচুড়া আদালতে। বিশাল-সহ দোষী প্রত্যেকের ফাঁসির দাবিতে সোমবার গরমকে তুচ্ছ করে ফের পথে নামল নাগরিক সমাজ।

এই মামলায় বিশাল-সহ ধৃত কেউই জামিন পায়নি। জানা গিয়েছে, বিচার প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই সাক্ষগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হল ‘আর্গুমেন্ট’ (বাদী ও বিবাদী পক্ষের তরফে যুক্তি)। সে জন্য অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হয়। নিরাপত্তার কারণে আদালত চত্বরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত বিশাল ও তার শাগরেদদের ফাঁসির দাবিতে ঘড়ির মোড় থেকে মিছিল হয়। মিছিলকারীদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন। আদালত চত্বরে অবস্থান করেন ওই প্রতিবাদীরা।

মিছিলে শামিল হন নিহতের মা কুন্তী মাল। কান্নাভেজা গলায় তিনি বলেন, ‘‘ছেলেকে যে ভাবে ওরা খুন করেছে, ওদের ফাঁসি চাই।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর বিষ্ণুকে তাঁর বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তার পরে চাঁপদানি এলাকার একটি বাড়িতে তাঁকে খুন করে দেহ ছ’টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।

ঘটনার নৃশংসতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে স্থানীয় মানুষজন আন্দোলনে নামেন। অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হয়। এর আগেও বিশালকে আদালতে পেশ করা হলেই মানুষজন তার শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন।

আন্দোলনকারীদের তরফে সপ্তশতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাড়ে তিন বছর ধরে সবাই মিলে লড়াই চালাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা চাই। বিচার ব্যবস্থার উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chinsurah

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy