নিজস্ব চিত্র
লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে বিপর্যস্ত হুগলির হরিপাল। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সকাল থেকে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জনে শোভাযাত্রা বার করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই আদেশ অমান্য করেই বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে লাউডস্পিকার বাজিয়ে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিতে থাকে ক্লাবগুলি। পুলিশ এসে প্রাথমিক ভাবে লাউডস্পিকারর্গুলিকে আটক করে। তার পর ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনে বিসর্জন দেওয়ার কথা বললে সে সব ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি তখনকার মতো মিটে গেলেও সন্ধ্যায় ফের শুরু হয় বিসর্জনের প্রস্তুতি। এর পর হরিপাল থানার পুলিশের বাহিনী মোতায়েন করা হয় মোড়ে মোড়ে, যাতে শোভাযাত্রা বার হতে না পারে। রাত দশটা নাগাদ হরিপালের মশাই মোড়ে মাইক বাজিয়ে শোভাযাত্রা বার হতেই পুলিশ বাধা দেয়। তখনই পুলিশের উপর শুরু হয় ইট বৃষ্টি। পাল্টা লাঠি চার্জ করে পুলিশ ও র্যাফ। ইটের ঘায়ে আহত হন ২০ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশ কর্মী। এক জন এএসআই-এর মাথা ফাটে। হরিপাল থানার ওসি মধুসূদন ঘোষের ঘাড়ে ও পায়ে আঘাত লাগে। এলাকার দোকানপাট এবং বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
রাতের ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকা রয়েছে থমথমে। ঘটনার পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। গত রাতেই ঘটনায় জড়িত থাকায় বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে খবর, হরিপালের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় পঞ্চাশটি লক্ষ্মী পুজো হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও পুজোয় যে শোভাযাত্রা বার করা যাবে না, তা আলোচনা করে বলে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুজো কমিটিগুলি শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নেয়, তাতেই অশান্তি বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy