কর্মাধ্যক্ষের চিকিৎসা চলছে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
খান চারেক পুকুর বেআইনি ভাবে কাটিয়ে মাটি পাচারের অভিযোগ উঠেছিল গোঘাট-২ ব্লকের পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে অভিযোগ পেয়ে ভূমি দফতর তা বন্ধ করে মঙ্গলবার। এরপরই বুধবার বিকেলে পঞ্চায়েত সমিতিতে চড়াও হয়ে বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ স্বপন সাহানার গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠল স্থানীয় ঠিকাদার সামানুল আলি ওরফে শেখ সুজাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ওই বিকেলেই বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্বপন। ‘গলায় ব্যথা’ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তিনি কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
বিষয়টা নিয়ে বিডিও দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘কর্মাধ্যক্ষর সঙ্গে গোলমালের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” আর পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে বেআইনি পুকুর কাটা নিয়ে ব্লক ভূমি আধিকারিক আনন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে রাজস্ব আধিকারিককে পাঠানো হয়। বেআইনি ভাবে পুকুর কাটা বন্ধ করানো হয়েছে।’’
স্বপনের অভিযোগ, “কেন ভূমি দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি, তার জন্যই সামানুলের ক্ষোভ। তাছাড়া পুকুরের মাটি কাটানোর জন্য আমাকেই দফতরের অনুমতি আদায় করে দিতে হবে বলে চাপ দিচ্ছিল। আমি নারাজ হতেই ও গলা টিপে ধরে। কোনওমতে ধাক্কা দিয়ে প্রাণে বাঁচি। ভোট চাইতে গ্রামে গেলে আমাকে জুতো পেটা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে।’’
অভিযোগ মানেননি সামানুল। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘নিজের ঠিকাদারি কাজের খোঁজ নিতে পঞ্চায়েত সমিতিতে এসেছিলাম। মাটি কাটা বা পাচারের সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বলেছিলাম, গ্রামের পুকুরগুলো সংস্কারে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে অনুমতির ব্যবস্থা না করে দিলে ভোট চাইতে গেলে লোকে তাড়া করবে। এরপরই স্বপন আমাকে মারতে এলে বাঁ হাতে তাঁর গলা ধরে সরিয়ে দিই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy