হুগলির পান্ডুয়ায় প্রথম বার সমবায় ভোটে বড় জয় পেল তৃণমূল। ১২টি আসনের সবকটিই জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। খাতাই খুলতে পারেনি সিপিএম ও বিজেপি।
রবিবার পান্ডুয়ার সিমলাগর ভিটাসিন পঞ্চায়েতের পোটবা সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। ১২টি আসনের সবকটিতেই সিপিএম, বিজেপি ও তৃণমূল— প্রত্যেকেই তাদের প্রার্থী মনোনীত করেছিল। পোটবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। ৮৩৩ জন ভোটারের ভোটের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত জয়ী হন তৃণমূলের ১২ জন প্রার্থী।
এ দিকে, পান্ডুয়ায় সমবায় সমিতির ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। তবে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সন্ধ্যায় ভোটগণনা শুরু হয়। প্রথম থেকেই বাম ও বিজেপি প্রার্থীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। শেষমেশ ১২টি আসনের সব ক’টিতেই জয়লাভ করে শাসকদল। সমবায়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার প্রবীর পান্ডে বলছেন, ‘‘১২ টি আসনে মোট ৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। ভোটার ছিলেন ৮৩৩ জন। চারটি বুথ মিলিয়ে সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন হয় ভোট গ্রহণ।’’
আরও পড়ুন:
এই প্রথম পান্ডুয়ার পোটবার এই সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হল। এর আগে সমঝোতার মাধ্যমেই প্রতিনিধি নির্বাচন হত বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। তাই প্রথম বারের নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কর্মীরা। ফল ঘোষণা হতেই আবির খেলায় মেতে ওঠেন তাঁরা। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার মানুষের জন্য যা যা করেছেন, তাতে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলই আমাদের ধারে কাছে আসতে পারবে না।’’
যদিও হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তুষার মজুমদারের দাবি, ভোটে কারচুপি করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, বিজেপি ভোটের জন্য ভোটারদের যে রসিদ দিয়েছিল, তার অনেক রসিদ তৃণমূল ছিঁড়ে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘নিরপেক্ষ ভাবে ভোট হলে তৃণমূল ধুলিসাৎ হয়ে যেত!’’