রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়ের নেতৃত্বে বৈঠক নিজস্ব চিত্র
ইয়াস ওড়িশার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেও রাজ্যে তার প্রভাব পড়বে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। হাওড়ার শ্যামপুরের গাদিয়াড়ার বাসিন্দাদের মনে আমপানের ক্ষত এখনও দগদগে। গত বার শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের গাদিয়াড়ায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। কয়েক হাজার বাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। প্রায় ১ মাস ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল ওই ব্লকের অনেক গ্রাম। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও হাজির আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মঙ্গলবার শ্যামপুরের ১ নম্বর বিডিও অফিসে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়ের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায় ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলক রায় জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরা নদীবাঁধ পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরও জানান, যাঁরা পাকা বাড়িতে থাকেন না, তাঁদের ত্রাণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পানীয় জলের পাশাপাশি খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভেঙে পড়া গাছ দ্রুত সরানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়লে সেটাও দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।
এ দিকে বৃষ্টির জেরে হাওড়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা। তাই জমা জল বের করে দেওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। ৭টি বরো অফিস সহ সব অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। মূল কন্ট্রোল রুম হাওড়া পুরসভায় করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে রাতে থাকতে পারেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানান, জল নিকাশের জন্য ১১টা পাম্প হাউস ছাড়াও মোট ৭০টি পাম্প চালানো হবে। এ ছাড়াও ত্রাণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। কোভিড রোগীদের জন্য থাকছে ৪টি কেন্দ্র। পর্যান্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে ত্রিপল ও শুকনো খাবারের। প্রতিটি থানায় থাকছে গাছ কাটার দল। পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy