ডুমুরদহের দাদপুরে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে সোমবার পুরুষ-মহিলা মিলে ৫ জন ভর্তি ছিলেন জিরাট গ্রামীণ হাসপাতালে। মঙ্গলবার তাঁদের প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। প্রশাসনের বক্তব্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
ওই এলাকায় ডায়রিয়া ছড়াতেই প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গ্রামে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় একটি নলকূপ এবং একটি পুকুরের জল ব্যবহার বন্ধ করা হয়। ওই পুকুর ও নলকূপের জলের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়। রবি ও সোমবার এলাকায় গিয়েছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর। মঙ্গলবার যান মহকুমাশাসক (সদর) স্মিতা সান্যাল শুক্ল। তিন দিনই যান বিডিও (বলাগড়) সুপর্ণা বিশ্বাস।
মহকুমাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় শিবির করে রয়েছেন। আপাতত পুকুরের জল ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে। নতুন একটি টিউবওয়েল খোলা হয়েছে। পানীয় জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। বাড়ি বাড়ি ২০ লিটার পরিস্রুত জল দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
শনি ও রবিবার দুই মহিলার মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেন, ডায়রিয়ার কারণেই তাঁরা মারা গিয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে রবিবার কালনা হাসপাতালে মৃত মঞ্জু সাধু কিডনিজনিত সমস্যার কারণে মারা গিয়েছে বলে জানান ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তা জয়দীপ বড়ুয়া। মৃত্যু শংসাপত্রেও তার উল্লেখরয়েছে। শনিবার চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মণি মান্ডিকে(২৫) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রবিবার তাঁর দেহের ময়না তদন্ত করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)