Advertisement
E-Paper

বাণিজ্যিক বহুতলে আগুন লেগে অষ্টমীতে আতঙ্ক হাওড়ায়

সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার ডবসন রোডে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা নাগাদ ওই বহুতলের পাঁচতলায় আগুন লাগে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৪৮
পুজোর জন্য ওই বাণিজ্যিক বহুতলের প্রায় সমস্ত অফিসই বন্ধ।

পুজোর জন্য ওই বাণিজ্যিক বহুতলের প্রায় সমস্ত অফিসই বন্ধ। ফাইল ছবি

হাওড়ার একটি বাণিজ্যিক বহুতলের পাঁচতলায় আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল অষ্টমীর সকালে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার ডবসন রোডে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা নাগাদ ওই বহুতলের পাঁচতলায় আগুন লাগে। সেই তলায় রয়েছে দু’টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের গৃহ ঋণের অফিস। এই ঘটনার সপ্তাহ দুয়েক আগেই হাওড়া ময়দানের কাছে এমনই একটি বাণিজ্যিক বহুতলের একতলায় আগুন লেগেছিল। সেই আগুন দোতলাতেও ছড়িয়ে পড়ায় চারটি শোরুম পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এ দিনও আগুন পুরো পাঁচতলায় ছড়িয়ে পড়ে। দমকল জানিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সার্ভার রুম-সহ পাশের দু’টি ঘর পুড়ে গিয়েছে। এলাকায় জলের সমস্যা থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পুজোর জন্য ওই বাণিজ্যিক বহুতলের প্রায় সমস্ত অফিসই বন্ধ। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ যখন গোটা ডবসন রোড এলাকা পুজোর আনন্দে মেতে রয়েছে, তখন স্থানীয় বাসিন্দারাই পাঁচতলার উপরে কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দমকল ও পুলিশে খবর দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই দমকলের চারটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। দমকলের অনুমান, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ প্রদানকারী অফিসের সার্ভার রুমেই প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার জেরে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

এলাকার বাসিন্দা সোহম সিংহ বলেন, ‘‘আমিই প্রথম ধোঁয়া আর আগুন দেখতে পাই উল্টো দিকের বাড়িতে। দেখলাম, পাঁচতলার জানলা দিয়ে দাউ দাউ করে আগুনের শিখা বেরিয়ে আসছে। আমি নীচে এসে সকলকে খবর দিই।’’ দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বহুতলে এ দিন আগুন লেগেছিল, তার সামনে হাইড্রলিক মই লাগানোর জায়গা ছিল না। তাই নীচ থেকে পাইপে করে রিলে পদ্ধতিতে জল নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বার বার জল শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং পুরসভার ওই এলাকায় জলের কোনও উৎস না থাকায় দমকলের ইঞ্জিনগুলিকে বার বার দফতরে গিয়ে জল ভরে নিয়ে আসতে হয়।

দমকলের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘খবর পেয়ে প্রথমে দু’টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন পাঠাতে হয়েছে। প্রচণ্ড ধোঁয়া থাকায় আমরা প্রথমে পাঁচতলায় উঠতেই পারিনি। তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাই সময়ও বেশি লেগেছে।’’

Fire office
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy