প্রথমে বাজি ফাটার মতো বিস্ফোরণের জোরালো শব্দ। পরমুহূর্তে লোকজন দেখলেন, একটি চারতলা বহুতলের নীচে থাকা বড় বিপণির বন্ধ দরজার নীচ দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসছে। সোমবার রাত পৌনে ২টো নাগাদ মালিপাঁচঘরা থানা এলাকার ঘুসুড়ির এই ঘটনায় ওই আবাসনের নীচে থাকা বিপণিটি পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। ওই বিপণির মালিকের অভিযোগ, দমকল আসতে দেরি করায় আগুন আরও বিধ্বংসী আকার নেয়। যদিও অভিযোগ মানেনি দমকল।
ঘুসুড়ির ওই বহুতলের বাসিন্দারা জানান, সোমবার গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। ওই দিন ছটপুজো থাকায় রাতে রাস্তায় আলো লাগানো ছিল, লোকজনও চলাচল করছিলেন। তাঁরাই প্রথম আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তাঁদের চিৎকারে তড়িঘড়ি রাস্তায় বেরিয়ে আসেন বহুতলের আবাসিকেরা। তাঁদের এক জন সমরেন্দ্র দাস বলেন, ‘‘আমি প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। নীচে এসে দেখি, বড় বিপণিটির দরজার তলা দিয়ে আগুনের শিখা বেরিয়ে আসছে। তার পরেই শুনতে পাই দোকানের ভিতর থেকে বাজি ফাটার মতো শব্দ। ভয়ে সকলে রাস্তায় নেমে আসি।’’ সংশ্লিষ্ট বিপণির মালকিন মিতালি দাস বলেন, ‘‘দমকল ঠিক সময়ে এলে দোকান পুড়ত না।আমার কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস ছাই হয়ে গিয়েছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি করে দমকল আসে। ততক্ষণ তাঁরাই বালতি করে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। যদিও হাওড়া দমকলের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘খবর আসা মাত্র আমরা পৌঁছই। আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তা না হলে আগুন আবাসনের উপরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)