Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Extra marital affair

জামাইষষ্ঠীতে খেতে ডেকে খুন যুবককে! বৈদ্যবাটিতে স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ

মৃতের বোনের দাবি, তাঁর দাদা খেতে ভালবাসতেন। তাই জামাইষষ্ঠীতে ভাল খাবার খাওয়ানোর কথা বলে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে খুন করা হয়। পুলিশ মৃতের স্ত্রীর প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বৈদ্যবাটি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১৭:২৮
Share: Save:

স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে খুন স্বামী! ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বৈদ্যবাটিতে। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে ওই ব্যক্তি বাইরে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী জড়িয়ে পড়েছিলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। জামাইষষ্ঠীতে খাওয়ানোর নাম করে সেই প্রেমিকই স্বামীকে খুন করেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার মাকড়দহের বাসিন্দা দীপঙ্কর কুণ্ডু (৪৪) গত আড়াই বছর ধরে হুগলির বৈদ্যবাটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানিক ঘোষের বাগান এলাকায় স্ত্রী এবং পুত্রকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। একটি নিরাপত্তা সংস্থায় কর্মরত ছিলেন দীপঙ্কর। তাই রোজ বাড়ি ফিরতে পারতেন না। তবে, সপ্তাহান্তে বাড়ি ফিরতেন দীপঙ্কর। মৃতের বোন মৌমিতা শ্রীমানির অভিযোগ, বৈদ্যবাটিতে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়়িয়ে পড়েছিলেন বৌদি। মৌমিতা বলেন, ‘‘এ নিয়ে দাদার সঙ্গে নিয়মিত অশান্তি হত বৌদির। গত তিন-চার দিন বৌ এবং ছেলের কাছে ফেরেনি দাদা। জামাইষষ্ঠী আছে বলে দাদাকে বৈদ্যবাটির বাড়িতে ডাকে বৌদি। তার পর বৌদির প্রেমিক দাদাকে কুপিয়ে খুন করে।’’

বৈদ্যবাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন একটি অপেক্ষাকৃত নির্জন এলাকায় দীপঙ্করকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরা খবর দেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। কাউন্সিলর অভিজিৎ গুহ পুলিশকে জানালে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে দীপঙ্করকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় যুবকের। মৃতের স্ত্রী জ্যোতি কুণ্ডুকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের তরফে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রিজু মাঝির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Murder police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE