E-Paper

ইটভাটায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

হুগলির চার মহকুমার মধ্যে সদর, শ্রীরামপুর ও চন্দননগরে প্রচুর ইটভাটা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার-সহ বিভিন্ন পড়শি রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা আসেন ইট তৈরির কাজে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:০৮

—প্রতীকী চিত্র।

বর্ষা কাটতেই কাজের মরসুম শুরু হয়েছে ইটভাটায়। হুগলিতে ওই কাজে আসা পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

জানা গিয়েছে, চন্দননগরের আইন সহায়তা কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়েছে, মশাবাহিত এই দুই রোগ প্রতিরোধে জেলার সব ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলিকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর সংশ্লিষ্ট ইটভাটায় শিবির করতে হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ব্লকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাজে যাঁরা আছেন, তাঁদের বলা হয়েছে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে। জেলা থেকেও পরিস্থিতির উপরে নজরদারি চালানো হবে ওই সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে।’’

হুগলির চার মহকুমার মধ্যে সদর, শ্রীরামপুর ও চন্দননগরে প্রচুর ইটভাটা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার-সহ বিভিন্ন পড়শি রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা আসেন ইট তৈরির কাজে। সন্তানদেরও নিয়ে আসেন। আইন সহায়তা কেন্দ্রের সদস্যেরা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁরা খবর পাচ্ছিলেন, কিছু দিন ধরেই শ্রমিক ও তাঁদের সন্তানরা ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সব ক্ষেত্রে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। ফলে, লাগোয়া এলাকায় তা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

ওই সংগঠনের তরফে হুগলি জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। সংগঠনের কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে শ্রীরামপুরে ডেঙ্গি মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছিল। অনেকের প্রাণও গিয়েছিল। তাই আমরা জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই। তারপরই জেলা স্বাস্থ্য দফতর দ্রুত ব্লকগুলিকে স্বাস্থ্য শিবির করে ব্যবস্থা নিতে বলে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে, ইটভাটা মালিক এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের কাজের শর্ত এবং চিকিৎসার সুবিধার কথা জানতে। ইটভাটা চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিখরচায় করতে হবে ভাটা বা ঠিকাদারের তরফে। শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে নজর বেশি দিতে হবে। মশা জন্মানোর স্থান চিহ্নিত করে তা নষ্ট করতে হবে। শ্রমিকদের মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। জলের উৎস পরীক্ষা করতে হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dengue Malaria

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy