বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জে। দুর্গাপুজা দেখতেই সস্ত্রীক হাওড়ায় এসেছিলেন ব্যবসায়ী সুরেশ যাদব। কিন্তু কে জানত, সেই বিহার থেকেই তাঁদের পিছু নিয়েছিল আততায়ীর দল! রীতিমতো ছক কষে ব্যবসায়ীর পিছু পিছু ভিন্ রাজ্যে এসেছিল তারা। অষ্টমীর রাতে শেষমেশ তাদেরই হাতে হাওড়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হতে হল ব্যবসায়ীকে।
নিহত ব্যবসায়ী সুরেশের বয়স ৫৫। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল বিহারের মাফিয়াদের। সম্ভবত, বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনাও চলছিল। এর মাঝেই পুজো উপলক্ষে সস্ত্রীক হাওড়ায় আসার পরিকল্পনা করেন সুরেশ। খবর পেয়ে সুরেশের পিছু পিছু হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় দুস্কৃতীরাও।তার পর সুযোগ বুঝে অষ্টমীর রাতে হাওড়ার বনবিহারী বসু লেনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি করে পালায় তারা।
আরও পড়ুন:
খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, সুরেশের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা ছিল। অতীতে সাত-আট বছর জেলও খেটেছিলেন তিনি। বছরদুয়েক আগে গোপালগঞ্জেও তাঁকে লক্ষ করে গুলি চলেছিল। সে যাত্রায় কোনও ভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে সুরেশের স্ত্রী ও পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। রাতেই হাওড়া থানায় পৌঁছেছেন পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বনবিহারী বসু লেনের সন্ধ্যাবাজার এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সুরেশ। সে সময় আচমকা বাইকে চড়ে আসেন এক দল যুবক। তার পর ব্যবসায়ীকে লক্ষ করে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন তাঁরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সুরেশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।