প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের উপপ্রধানের ‘নগ্ন’ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। আর এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হুগলির বলাগড়। ওই ঘটনায় বিজেপির হাত দেখছে জোড়াফুল শিবিরের একাংশ। যদিও বিষয়টিকে শাসকদলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ হিসাবেই দেখছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ এবং সাইবার সেলের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভানেত্রী রুনা খাতুনের স্বামী অরিজিৎ দাসের একটি ছবি। আর তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। অরিজিৎ বলাগড়ের সিজা-কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ওই ছবিতে দেখানো হয়েছে, অরিজিৎ, পঞ্চায়েতেরই এক তৃণমূল সদস্যার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। আর এই ছবি ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রুনার দাবি, ওই ছবি ভুয়ো। এ সব করে তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে বদনাম করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ রুনার।
এই ঘটনার পিছনে দলেরই একাংশের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে বলাগড়ের তৃণমূল শিবিরে। এই প্রেক্ষিতেই রুনার মন্তব্য, ‘‘এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং জঘন্য চক্রান্ত। আমি জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পর অনেকের মনে হচ্ছে, তাঁদের অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। তাঁরা আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে পারছেন না। তাই আমাকে অপমান করার জন্য এই সব কাজ করছেন। তাঁরা আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। আমার সঙ্গে একে পর এক দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা ঘটছে। আমাকে সামাজিক ভাবে অপদস্থ করার চক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি, যে মহিলাকে নিয়ে এ সব করা হচ্ছে তাঁকেও সামাজিক ভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে। ওই ছবিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেটা ভুয়ো। বানানো হয়েছে।’’
যদিও এর পিছনে বিজেপির হাত দেখছেন তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ভুয়ো ভিডিয়ো এবং ছবি তৈরি করে ভাইরাল করছে অনেক দিন ধরেই। ওরা কুৎসা-অপপ্রচার করে। এই ছবিটি এডিট করে তৈরি করা হয়েছে। আমরা সাইবার ক্রাইম এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি বিষয়টি নিয়ে।’’
যদিও স্নেহাশিসের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তার জেরেই এ সব হচ্ছে। এর আগেও দেখা গিয়েছে তৃণমূলের এমন অনেক ছবি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy