Advertisement
০২ মে ২০২৪
Recruitment scam

হুগলির দুই পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে তদন্ত দাবি

কয়েক বছর আগে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনার একটি সংস্থা সেই কাজ করে।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১৯
Share: Save:

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভার কর্তাকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এই অবস্থায় হুগলির দু’টি পুরসভায় নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে ফের সবর বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। যে শহর থেকে পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীলের মতো মাথা গ্রেফতার হয়েছে, সেই হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় কেন এই তদন্ত হয়নি, উঠছে সেই প্রশ্ন।

বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্যের পুর ও নগোন্নয়ন দফতরই হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগ প্রক্রিয়া কয়েক বছর আগে বাতিল করেছে অস্বচ্ছতা থাকায়। কিন্তু তার কিনারা হয়নি। বঞ্চিত প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায় মানছে না ডানকুনি পুরসভা। শাসকদলের সংশ্লিষ্ট দুই পুরপ্রধান অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

কয়েক বছর আগে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনার একটি সংস্থা সেই কাজ করে। অভিযোগ ওঠে, উত্তীর্ণরা নন, নেতাদের হাতযশে তাঁদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পাচ্ছেন ঘুরপথে। শুরু হয় আন্দোলন। পরিস্থিতির চাপে রাজ্যের পুর ও নগোন্নয়ন দফতর নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ সবের মাঝেই পুরভোট আসে। নতুন বোর্ড গঠিত হয়। বিষয়টি কার্যত ধামাচাপা পড়ে যায়। অভিযোগ, এই পুরসভায় বহু ‘ভূতুড়ে’ অস্থায়ী কর্মী আছেন, যাঁরা শাসকদলের নেতাদের ফাইফরমাস খাটেন। পুরসভার কাজ না করেই বেতন পান।

বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘অয়ন শীল চুঁচুড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছেন। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত হোক।’’ বর্তমান পুরপ্রধান অমিত রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিরোধীরা যা খুশি বলুন। আমিই তখন প্রতিবাদ করে পুরমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। মিউনিসিপ্যাল ডাইরেক্টরেট তদন্ত করে প্রক্রিয়া বাতিল করে। এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত, রাজ্য সরকার নেবে।’’

কয়েক বছর আগে ডানকুনি পুরসভাতেও নিয়োগে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা হাই কোর্টে মামলা করেন। আদালত ১১ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় সম্প্রতি। চাকরিপ্রার্থী সইফুল ইসলাম লস্কর বলেন, ‘‘রাজ্য শ্রম দফতর আদালতের নির্দেশেও কাজ করেনি। আমরা আদালতের নির্দেশ ভঙ্গের মামলা করলে ওরা নড়েচড়ে বসে। আগামী ১০ তারিখ শ্রম দফতরে শুনানি। চাকরি না পেলে ফের আদালতকে জানাব।’’ ডানকুনির পুরপ্রধান হাসিনা শবনম অবশ্য বলেন, ‘‘শ্রম দফতর যে নির্দেশিকা দেবে, পালন করব।’’

সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের মন্তব্য, ‘‘খুঁজলে তৃণমূল পরিচালিত প্রত্যেক পুরসভাতেই দুর্নীতি মিলবে। তৃণমূলের দুর্নীতির তল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও পাচ্ছে না।’’ পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুখপাত্র স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘বিরোধীরা যা খুশি বলতে বা চাইতে পারেন। বিচার হয় প্রমাণের উপরে দাঁড়িয়ে। অনিয়ম কোথাও থাকলে, তদন্ত হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly Enforcement Directorate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE