নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ড) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার পয়গম্বর-মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদের আঁচে আজও অগ্নিগর্ভ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। চেঙ্গাইলে রেল অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। যার জেরে বাড়ি ফেরার পথে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ চেঙ্গাইল স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। প্রায় সাত ঘণ্টা পর রেল অবরোধ ওঠে। এর জেরে পাঁচটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
উলুবেড়িয়া মনসাতলায় বিজেপি গ্রামীণ অফিস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। জাতীয় সড়কে বিভিন্ন জায়গা অবরোধ করা হয়। পাঁচলায় দফায় দফায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ডোমজুর থানাতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ধুলাগড়েও উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে অবরোধকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। সলপের পরিস্থিতিও উত্তপ্ত। সেখানে র্যাফ নামানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডোমজুড়ে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরুদ্ধ ছিল। যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, রাত ৯টার পর ওই এলাকায় অবরোধ ওঠে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে পয়গম্বর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন আরেক মুখপাত্র নবীন জিন্দল। এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এমনকি, আন্তর্জাতিক মহলেও কার্যত ‘কোণঠাসা’ মোদী বাহিনী। এই প্রেক্ষাপটে নূপুরদের গ্রেফতারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। চাপের মুখে বাধ্য হয়ে নূপুরকে সাসপেন্ড করেছে পদ্ম শিবির। নবীনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও ভাবেই বিক্ষোভের আঁচ কমছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy