আলুর ফলন বেশি হওয়ায় ভাল দাম মিলছে না বলে চাষিদের আক্ষেপ। বিধানসভা ভোটের আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে আলুর ন্যায্য দামের দাবিতে চাষিদের জোট বেঁধে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গত লোকসভা ভোটের আগে সিঙ্গুরে এসে ক্ষমতায় এলে টাটাগোষ্ঠীকে হাতে-পায়ে ধরে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দু। বুধবার সিঙ্গুরের রতনপুরে বিজেপির কিসান মোর্চার অবস্থান মঞ্চে তিনি শিল্পের কথা বলেননি। পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, গ্রামীণ হাওড়ার আলুচাষিদের জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন।
একটি নথি হাতে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি ২৫ ফেব্রুয়ারির। এখানে বলা রয়েছে, ২ কোটি ২০ লক্ষ প্যাকেট (৫০ কেজিতে এক প্যাকেট) আলু সরকার ১৫ টাকা কেজি দরে কিনবে। কিন্তু লোকদেখানো কয়েক হাজার বস্তা কিনে কাজ শেষ করছে।’’ সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে ‘ডাকাত’ বলে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আসছেন। আপনারা বিজেপির পতাকা ছাড়া সেখানে গিয়ে আলু কেনার বিষয়ে প্রশ্ন করবেন।’’ তারপরেই কিসান মোর্চার উদ্দেশে ওই ছয় জেলার চাষিদের নিয়ে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করার বার্তা দেন। বলেন, ‘‘লাগাতার আন্দোলন করবেন। কাজ না হলে কৃষকেরা এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আদালতে যাবেন।’’ ভিন্ রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলুর চাহিদা কমার পিছনে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন শুভেন্দু।
বেচারামের দাবি, রাজ্য প্রয়োজন মতো আলু কিনেছে। তিনি বলেন, ‘‘এ বার গোটা দেশেই আলুর ফলন বেশি। তাই চাহিদা কম। লোকসান ঠেকাতে আমরা চাষিদের সঙ্গে রয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘শুভেন্দু বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন। যদি চাষিদের বাঁচাতেই চায়, তা হলে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে অতিরিক্ত আলু বিদেশে রফতানির ব্যবস্থা করুক।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)