মূর্তিটি তৈরি করেছেন স্কুল শিক্ষক নিজে। নিজস্ব চিত্র।
বাংলার নবজাগরণের প্রাণপুরুষ রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠা হল হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলে। সরকারি এই স্কুলের শিক্ষক বিশ্বনাথ দে নিজ হাতে রামমোহনের আবক্ষ মূর্তি তৈরি করেন। জানালেন, জন্মদিনে এটাই তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ।
বিশ্বনাথবাবু বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। ২০০৬ সালে হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তার আগে ১৯৯৫ সালে বাঁকুড়া জেলা স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের ছাত্র বিশ্বনাথবাবু এর আগেও স্কুলের জন্য মূর্তি তৈরি করেছেন। তাঁর গড়া প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মূর্তি স্কুলে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ বার স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন, হুগলি জেলার কৃতি সন্তান রামমোহন রায়ের মূর্তি বসানো হবে স্কুল প্রাঙ্গণে। তার ভার দেওয়া হয় স্কুলেরই আঁকার শিক্ষক বিশ্বনাথবাবুকে। মাত্র ২২ দিন সময় নিয়ে রামমোহনের আবক্ষ মূর্তি তৈরি করে ফেলেন তিনি।
প্রথমে মাটি দিয়ে তৈরি হয় রামমোহনের অবয়ব থেকে প্লাস্টার অফ প্যারিসের ছাঁচ। সেখান থেকে ফাইবার গ্লাসের মূর্তি তৈরি করেন। বর্ধমানে নিজের বাড়িতে তৈরি করা সেই মূর্তি গাড়ি করে স্কুলে নিয়ে আসেন শিক্ষক। রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা হল। উদ্বোধন করেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় চক্রবর্তী। বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘এই মূর্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য, পড়ুয়ারা যাতে এই মূর্তি দেখে মহা পুরুষের দেখানো পথকে অনুসরণের অনুপ্রেরণা পায়।’’ আর প্রধান শিক্ষক জানান, এই মূর্তি বসাতে সাহায্য করেছে জেলা পূর্ত দফতর। তবে মূর্তি গড়ার কোনও পারিশ্রমিক নেননি বিশ্বনাথবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy