ফাইল চিত্র।
হাওড়া জুড়ে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় প্রদান সেপ্টেম্বরেই শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এ জন্য দৈনিক ৫০ হাজার প্রথম ডোজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও এ ক্ষেত্রে মূল বাধা রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ, মনে করছেন দফতরের আধিকারিকদের একাংশই।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, হাওড়ায় প্রতিষেধক পাওয়ার কথা প্রায় ৩৫ লক্ষ বাসিন্দার। ইতিমধ্যেই ২১ লক্ষের মতো বাসিন্দা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। বাকি ১৪ লক্ষের প্রথম ডোজ় প্রদান সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় ডোজ়ও পেয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ ৭০ হাজার নাগরিক। প্রতিষেধকের জোগান ঠিক থাকলে এ বছরের মধ্যেই হাওড়ায় দ্বিতীয় ডোজ় প্রদান শেষ হবে বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। দফতর এ-ও জানাচ্ছে, কাজ সময়ে শেষ করতে গেলে প্রতিষেধক শিবিরগুলিতে নেতাদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বর্তমানে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা গোটা জেলায় খুব বেশি বাড়েনি। তবু করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দিনে এখন আরটিপিসিআর পরীক্ষা ৯০০টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা ১২০০টি করা হচ্ছে। সেই পরীক্ষার ফলাফলে পজ়িটিভ রোগীর সংখ্যা এখনও কম রয়েছে।
যাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া জরুরি, তাঁদেরকেই প্রথম লক্ষ্য হিসেবে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে এটাই এখন হাতিয়ার বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। দফতরের এক কর্তা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদের দিনে ৫০ হাজার ডোজ় দেওয়ার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। মঙ্গলবার ৪৫ হাজারের মতো মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। সংখ্যাটা দিনে ৫০ হাজার করতে চাই। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক নেতা ইচ্ছে মতো প্রতিষেধক গ্রহীতার তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সময় নষ্ট করছেন। ফলে আসল কাজে দেরি হচ্ছে। ওই হস্তক্ষেপ বন্ধ করলে আমরা অনায়াসে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy