স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম শেখ আব্দুল সালাম ওরফে তোতা। নিজস্ব ছবি।
ডিএ অনশন মঞ্চে বক্তৃতা করার সময় নওশাদ সিদ্দিকিকে যিনি ধাক্কা মেরেছেন, তাঁর সঙ্গে শাসকদলের কোনও যোগ নেই। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক আঙুল তোলার পরেই এ কথা জানিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে। নওশাদ আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে দাবি করেছেন, তাঁকে যিনি ধাক্কা দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের লোক। তার পাল্টা শাসকদলের বক্তব্য, অনেক দিন আগেই অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার ডিএ অনশন মঞ্চে নওশাদ যখন বক্তৃতা করছিলেন, আচমকাই এক ব্যক্তি মঞ্চে উঠে তাঁকে ধাক্কা দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নওশাদকে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করে জবাবের অপেক্ষায় না থেকে তাঁকে ধাক্কা দেন ওই যুবক। পরে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় ময়দান থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম শেখ আব্দুল সালাম ওরফে তোতা। তিনি হাওড়ার বাঁকড়ার পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। তৃণমূল পরিচালিত বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য আব্দুল এলাকায় তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই সময় রাজীবের সঙ্গেই বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন আব্দুল। যদিও ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁকে আর সেই ভাবে এলাকায় দেখা যায়নি। হাওড়া সদরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর ডান হাত ছিলেন তোতা। বিজেপির হয়ে ঝামেলা পাকাবারও চেষ্টা করেছিলেন। পঞ্চায়েত সদস্য থাকলেও দল থেকে ওঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’
অনশন মঞ্চের ঘটনার পর নওশাদ দাবি করেছেন যে, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, আক্রমণকারী যুবক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। তার প্রেক্ষিতে বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মেহের আলি বলেন, ‘‘বর্তমানে ওঁর সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। উনি এলাকাতেও আসেন না। তবে উনি পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। ওঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। তাই দল ওঁকে পাত্তা দেয় না।’’ তবে নওশাদকে ধাক্কা মারার ঘটনার নিন্দা করেন উপপ্রধান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy