—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতার পুজো কার্নিভালের এক দিন আগে হাওড়ায় হয়ে গেল দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। গঙ্গার ধারে, গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে এর আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। কলকাতার কার্নিভালের ধাঁচেই তৈরি করা হয়েছিল অতিথিদের বসার স্টেজ, দর্শকাসন। প্রশাসনের দাবি, গত বারের তুলনায় এ বার অংশগ্রহণকারী ক্লাবের সংখ্যা বেড়েছে। তবে দর্শকের সংখ্যা ছিল লক্ষ্যণীয় ভাবে কম। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানের জন্য একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় নাকাল হন সাধারণ মানুষ। এই ভোগান্তি এড়াতে ফের ওই কার্নিভাল ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে করার দাবি তুলেছে ক্লাবগুলি।
জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী, এ বছর হাওড়ার ১৪০০টি পুজোর মধ্যে কার্নিভালে অংশ নিয়েছে ১৮টি ক্লাব। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৬। সোমবার সকাল থেকেই গ্র্যান্ড ফোরশোর রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর ১টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় নগরপালের অফিসের সামনের নিত্যধন মুখার্জি রোড। অনেকেই হাওড়া ময়দান থেকে বঙ্কিম সেতু ব্যবহার না করে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন। এ দিন সেটি বন্ধ থাকায় হেঁটে স্টেশনে পৌঁছতে হয় তাঁদের। বেড়ানোর জন্য ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন যাঁরা, তাঁদের মালপত্র বয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা হাঁটতে হয় বলে অভিযোগ। দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলে।
দুপুরের পর প্রতিমা-সহ বড় বড় ট্রেলার হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঋষি বঙ্কিম রোড ধরে গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে যেতে শুরু করে। যানজটে থমকে যায় জি টি রোড, নেতাজি সুভাষ রোড, পঞ্চাননতলা রোড-সহ আশপাশের সমস্ত রাস্তা। সময় যত গড়িয়েছে, যানজট ততই তীব্র হয়েছে। হয়রানি বেড়েছে মানুষের।
কার্নিভালের জায়গা নিয়ে ক্লাবগুলি এ বছরও আপত্তি তুলেছে। শিবপুরের একটি ক্লাবের সম্পাদক বলেন, ‘‘জায়গা না বদলালে মানুষের হয়রানি কমবে না। তা ছাড়া এত টাকা খরচ করে সুসজ্জিত ট্যাবলো, অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করলেও পর্যাপ্ত দর্শকের অভাব থাকায় আমাদের আগ্রহও কমছে।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ক্লাবগুলি লিখিত ভাবে দিলে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy