ঝড়বৃষ্টির জেরে বুধবার রাতে গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন চুঁচুড়ার বাসিন্দারা। কিন্তু একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ায় বিপত্তি হল। ডাল ভেঙে এক জন আহত হয়েছেন। কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ব্যাঘাত ঘটে ট্রেন চলাচলে। কোথাও কোথাও সড়কপথেও যান চলাচল ব্যাহত হয়।
রাত সাতটা নাগাদ শহরের শ্যামবাবুর শ্মশান ঘাটে একটি বট গাছ ভেঙে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি বেঁকিয়ে দিয়ে একটি চায়ের দোকানে পড়ে। ঘটনায় আহত হন বিশ্বজিৎ ভট্টাচাৰ্য নামে ওই চা-দোকানি। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে, সেটি বিকল হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দাহের কাজ। পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী জানান, মেরামত করে ওই চুল্লি চালু করতে দু’তিন দিন লাগবে।
ব্যান্ডেলের বন মসজিদ চত্বরে কয়েকশো বছরের পুরনো একটি পিপুল, একটি বট ও একটি অশ্বত্থ গাছ কার্যত একসঙ্গে রয়েছে। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ওই গাছ তিনটির একাংশ ভেঙে মসজিদ পরিচালিত মাদ্রাসার রান্নাঘরে পড়ে। তার জেরে দুই মহিলা রন্ধনকর্মী রান্নাঘরে আটকে পড়েন। ঘণ্টাখানেক পরে দমকলকর্মীরা গিয়ে ঘরের জানলা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেন। সাড়ে ৭টা নাগাদ চুঁচুড়া স্টেশনের অদূরে একটি গাছের ডাল ভেঙে রেললাইনে পড়ে। তার জেরে বর্ধমান-হাওড়া শাখার ডাউন লাইনে কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রেলকর্মীরা গাছ সরান।
২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথ ঘাটের কাছে একটি বড় গাছ বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে রাস্তার উপরে পড়ে। এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। গাছ পড়ে থাকায় গঙ্গার ধার দিয়ে চুঁচুড়া থেকে চন্দননগর যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রাতেই অবশ্য পুরকর্মীরা গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলেন। তবে, বিদ্যুৎ ফিরতে বৃহস্পতিবার সকাল হয়ে যায়। গাছ উপড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় খাদিনা মোড় ও তালডাঙার একাধিক জায়গাতেও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)