হাওড়া জেলা হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।
চিকিৎসাধীন এক রোগীকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন তাঁর দুই আত্মীয়। সেই হাসপাতালের ভিতরেই লোহার পাইপ ভেঙে পড়ে আহত হলেন তাঁরা। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালের পুরনো ভবনে মেরামতির কাজ চলছিল। সেই কাজ চলার সময়েই একটি লোহার পাইপ পাঁচতলা থেকে ভেঙে পড়ে। তাতেই আহত হন ওই দু’জন। তবে, পাইপটি মাথায় না পড়ে তাঁদের দেহের উপরে পড়ায় প্রাণে বেঁচে যান ওই দু’জন। তাঁদের এক্স-রে করার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর আত্মীয়েরা। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এক রোগীর ওই আত্মীয়েরা যখন হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই হঠাৎ পুরনো ভবনের উপর থেকে একটি লোহার পাইপ ভেঙে নীচে পড়ে। তাতে আহত হন পিন্টু মুখোপাধ্যায় ও তাঁর এক সঙ্গী। তাঁদের পিঠে ও পায়ে আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’জনের এক্স-রে করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ দিন জরুরি বিভাগে দাঁড়িয়ে পিন্টু বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে এক জনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ একটি লোহার পাইপ আমার ঘাড়ে এসে পড়ে। মাথায় পড়লে কী হত, জানি না।’’
দীপঙ্কর জাটি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘দেখলাম, যে শ্রমিকেরা হাসপাতাল ভবনে মেরামতির কাজ করছেন, তাঁদের কোনও রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। অল্পের জন্য ওই দুই ব্যক্তি রক্ষা পেয়েছেন। না হলে লোহার পাইপ মাথায় পড়ে প্রাণহানিও হতে পারত। ওই দু’জন ছাড়াও আরও অনেকে হাসপাতাল চত্বরে ছিলেন। তাঁদেরও বিপদ হতে পারত।’’ ওই প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ, শ্রমিকদের কেউ কেউ নেশা করে কাজ করছিলেন। এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘পূর্ত দফতর হাসপাতাল ভবনে পাইপ মেরামতির কাজ করছিল। আচমকাই পাইপটি ভেঙে পড়ে। দুই ব্যক্তি সামান্য জখম হন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এক্স-রে করে কিছু না মেলায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy