পাক রেঞ্জারদের হেফাজত থেকে এখনও ছাড়া পাননি হুগলির বাসিন্দা বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী)-এর কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছে বিএসএফ। তবে সমাধান হয়নি। এই অবস্থায় একরাশ উৎকণ্ঠা নিয়ে সোমবারই পঞ্জাবের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন জওয়ানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁর বিমান ধরার কথা। প্রথমে যাবেন চণ্ডীগঢ়ে, তার পরে সেখান থেকে পঠানকোটে।
গত বুধবার পাক রেঞ্জার্সদের হাতে আটক হত পূর্ণম। ভুলবশত পাক ভূখণ্ডে প্রবেশ করে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে চার দিন অতিক্রান্ত হতে চলল, কিন্তু এখনও ছাড়া পাননি বিএসএফ জওয়ান। পূর্ণমকে ঘরে ফেরানোর আশায় সোমবার রজনী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা রওনা দিচ্ছেন পঞ্জাবে। তাঁর সঙ্গে পরিবারের আরও চার জন সদস্য যাচ্ছেন পঞ্জাবে। রবিবার বিএসএফ আধিকারিকেরা গিয়েছিলেন পূর্ণমের রিষড়ার বাড়িতে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন রজনী। কিছুটা আশা এবং কিছুটা দুশ্চিন্তাকে সঙ্গী করেই সোমবার পঠানকোটে যাচ্ছেন তিনি। রজনী জানান, পঠানকোটে গিয়েও সুরাহা না-হলে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দ্বারস্থ হবেন।
পূর্ণমের স্ত্রী জানান, বিএসএফ আধিকারিকেরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছেন তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনার জন্য। পরিবারকেও মানসিক ভাবে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন বিএসএফ আধিকারিকেরা। দফায় দফায় ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। রজনী জানান, বিএসএফের জওয়ানেরা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। উদ্বিগ্ন না-হওয়ার অনুরোধ করেছেন তাঁরা। রজনীর বক্তব্য, বিএসএফ আধিকারিকেরা জানিয়েছে এই ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে থাকে। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জওয়ানের বাবা ভোলানাথ সাউকে ফোনে কথা বলিয়ে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।
আরও পড়ুন:
পঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় পোস্টিং ছিল পূর্ণমের। বুধবার ভুল করে পঞ্জাবের ফিরোজপুরে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন পূর্ণম। বিএসএফ সূত্রে খবর, একটি গাছের তলায় কিছু ক্ষণের জন্য বিশ্রাম করছিলেন পূর্ণম। ওই সময়েই অজান্তে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে তিনি প্রবেশ করে যান।