Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Schools

ডিসেম্বরে স্কুল-কলেজ খোলার ভাবনা, রাজ্যে ছাড় মিলল বেশ কিছু ক্ষেত্রে

এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩৬
Share: Save:

ডিসেম্বরেই খুলে যেতে পারে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কবে থেকে স্কুল, কলেজ খুলবে, তা যদিও স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। তবে অতিমারি পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি সোমবার জানিয়েছেন। এ দিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘শুধু খুললেই হবে না, স্কুল চালাতে হবে। পড়ুয়াদের ভাগ করে স্কুলে আনা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।’’ তবে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন পার্থ।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নভেম্বরেও রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রবিবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি নবান্ন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি-সহ রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা পড়ুয়া, কেউই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করার প্রস্তাব নিয়ে সোমবারই রেলের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে রাজ্যের। তার পরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি চালু হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। দীপাবলির পরে স্কুল, কলেজ চালু হতে পারে, এমন খবরও সামনে আসতে শুরু করে। রাজ্যের ঘোষণায় সেই জল্পনায় ইতি পড়ল।

আরও পড়ুন: সৌমিত্রের সঙ্কট এখনও কাটেনি, তবে রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে​

তবে আগামী এক মাস স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকলেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সমস্ত সুইমিং পুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও, খেলাধুলোর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য সুইমিং পুল খোলা রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে সিনেমা হল, থিয়েটার এবং মাল্টিপ্লেক্সগুলিও খোলা থাকবে। তবে মোট আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশই পূরণ করা যাবে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতিতে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, ক্রীড়া এবং বিনোদন অনুষ্ঠানও আয়োজন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। নাটক, যাত্রা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও করা যাবে। তবে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে আগে। এ ছাড়াও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন—

ক) হল ভাড়া করে অথবা কোনও বদ্ধ জায়গায় যদি অনুষ্ঠান করা হয়, সে ক্ষেত্রে মোট আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশই পূরণ করা যাবে। হল যত বড়ই হোক না কেন ২০০ জনের বেশি লোক জমা করা যাবে না।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু কী করবেন, ‘অধিকার’ দেখাবেন মেজ অধিকারী?​

খ) খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে সেই জায়গার আয়তন যত হবে, সেই অনুযায়ী দর্শকসংখ্যা বেঁধে দিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্রিনিং এবং স্যানিটাইজেশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে সেখানে। কেনও রকম ত্রুটি ধরা পড়লেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE