Advertisement
E-Paper

রাজ্য পেল প্রথম পকসো আদালত

পকসো আদালত উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদন বি লোকুর। ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, নারী-শিশু-সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ অনেকেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:০১
প্লে স্কুলের মতোই দেখতে পকসো আদালত। নিজস্ব চিত্র।

প্লে স্কুলের মতোই দেখতে পকসো আদালত। নিজস্ব চিত্র।

এক ঝলকে দেখলে মনে হবে যেন প্লে-স্কুল। ঘরে সাজানো বই, খাতা, খেলার সরঞ্জাম। দেওয়ালে সাঁটানো হরেক রকমের রঙিন ছবি। অন্য ঘরগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে কর্পোরেট অফিস। কে বলবে এটা আদালত? প্লে-স্কুল ভেবে ভুল করারই কথা!

আসলে সচেতন ভাবেই রাজ্যের প্রথম পকসো (প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস) আদালতকে এ ভাবেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যাতে আইন-আদালত, থানা-পুলিশ, আসামী, অভিযু্ক্তদের নিয়ে শিশু মনে কোনও ছাপ না পড়ে। অনেক সময়ে নাবালিকা বা নাবালকদের নিগ্রহ, যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের মামলায় আদালতে আসতে হয় ওদের। সাক্ষ্য দিতে হয়। এমনকি অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতেও হাজির করানো হয়ে থাকে। ফলে আর পাঁচটা আদালতের মতো পরিবেশ হলে সহজেই শিশু মনে ছাপ পড়তে পারে। সে জন্যেই এ ভাবে আদালতকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচার ভবনে এই পকসো আদালত তৈরি করা হয়েছে।

শনিবার পকসো আদালতের উদ্বোধনের প্রথম দিনেই হাজির করানো হয়েছিল এক নাবালিকাকে। তাকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, দেখলে মনেই হবে না যে এটা কোর্টরুম। বিচারকের ঘরও ঠিক এজলাসের মতো নয়। নিগৃহীতার সামনে সওয়াল-জবাবও হয়নি। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের সঙ্গে কথা হয় নিগৃহীতার। ফলে বাকি সময়ে সরকারি এবং অভিযুক্তের আইজীবীরা কী ভাবে সওয়াল-জবাব করেছেন জানতেই পারেনি ওই নিগৃহীতা। এমনকি অভিযুক্তও সেই নিগৃহীতাকে দেখতে পাননি। যত ক্ষণ আদালত চলেছে (বিচারকের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া) বই, খাতা এবং পুতুলে ঠাসা ঘরেই ছিল সেই নিগৃহীতা। ওই মামলার সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর মামলা শুরু হয়েছে। পকসো আইন হওয়ার পর এ রকম মামলা প্রতি দিন প্রায় পাঁচটা করে আসছে। আলাদা আদালত হওয়ায় শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত হল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এ রকম আদালত আরও হওয়া উচিত।”

আরও পড়ুন: ভোপালে সরকার অনুমোদিত হোমে আবাসিকদের ধর্ষণ, খুন! গ্রেফতার প্রাক্তন সেনা আধিকারিক

২০১২ সালে পকসো আইন চালু হয়। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হয়। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফেও বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয়েছে। এ দিন পকসো আদালত উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদন বি লোকুর। ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, নারী-শিশু-সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ অনেকেই।

আরও পড়ুন: ফের কন্যাসন্তানের জন্ম, রাগে বড় মেয়েকে বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেললেন বাবা!

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

Pocso court west bengal Pocso Tamal Mukherjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy