প্রতীকী ছবি।
নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, কালো টাকার পরে তাঁর নিশানা হবে বেনামি সম্পত্তি।
আজ অর্থ মন্ত্রক জানিয়ে দিল, বেনামি সম্পত্তির বিরুদ্ধে অভিযানে ইতিমধ্যেই জালে মাছ পড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ৪০০ বেনামি লেনদেন চিহ্নিত করেছে আয়কর দফতর। অন্তত ২৪০টি মামলায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
পশ্চিমবঙ্গেও বেনামি সম্পত্তির খোঁজে নেমেছিল আয়কর দফতর। আজ তারা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু সম্পত্তি ভুয়ো সংস্থা বা শেল কোম্পানি খুলে কেনা হয়েছিল। সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জব্বলপুরের একটি মামলায় দেখা গিয়েছে, এক জন গাড়ির চালক ৭.৭ কোটি টাকা দামের জমির মালিক। তিনি যেখানে চাকরি করেন, মধ্যপ্রদেশের সেই সংস্থা তাঁর নামে জমি কিনেছে। রাজস্থানের অলঙ্কার ব্যবসায়ী তাঁর এক প্রাক্তন কর্মীর নামে ন’টি সম্পত্তি কিনে ফেলেছেন।
বেনামি সম্পত্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে গত বছর বেনামি লেনদেন দমন সংশোধনী আইন চালু করেছে মোদী সরকার। অর্থ মন্ত্রকের দাবি, দেশ জুড়ে ২৪টি বেনামি দমন শাখা তৈরি হয়েছে। তার ফলও মিলতে শুরু করেছে। ২৩ মে পর্যন্ত যে ৪০০ বেনামি লেনদেন চিহ্নিত হয়েছে, তার মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা, জমি, ফ্ল্যাট, গয়নাগাঁটি রয়েছে। যে ৫৩০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেগুলি কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি ছাড়াও গুজরাত, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের শহরগুলিতে। আয়কর দফতর সূত্রের বক্তব্য, কালো টাকার মালিকরাই বিশাল অঙ্কের অর্থ অন্যদের নামে লগ্নি করেন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও রয়েছেন এই তালিকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy