(বাঁ দিকে) শোভন চট্টোপাধ্যায়। রত্না চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় এজলাস বদল হল বুধবার। আলিপুর আদালতের ৬ এডিজির এজলাস থেকে মামলা সরল জেলা জজ কোর্টের এজলাসে। আর এ নিয়েই আদালতের বাইরে দু’জন দু’জনকে বিঁধলেন শোভন ও রত্না।
বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বিচারক বদল নিয়ে রত্না বলেন, ‘‘ওর (শোভনের) আসলে আইনের উপর আস্থা নেই। তাই এক বার এই কোর্ট, এক বার ওই কোর্ট করছে। দু’বছর আগেও এক বার মামলা সরাতে চেয়েছিল। তখন তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল।’’
পাল্টা শোভন বলেন, ‘‘আমার আইনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যা করার আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই করেছি।’’ কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক স্ত্রী (এখনও) রত্নাকে খোঁচা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমি শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই, উনিই এক বিচারককে গালিগালাজ করে মামলা থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন।’’
বেশ কয়েক বছর হল শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। শোভন এর আগেও বার বার বলেছেন, তিনি ‘মুক্তি’ চান। আর রত্না সেই প্রথম থেকে বলে এসেছেন, ‘‘দৌড় করাব, তবু ডিভোর্স দেব না।’’ ২০১৮ সালে বাড়ি, সংসার, স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ছেড়ে ‘বিশেষ বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোলপার্কের ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন শোভন। শুধু কি সংসার? মন্ত্রিসভা, মেয়র পদ— সব ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভন। বুধবার যখন আলিপুর আদালতের বাইরে গাড়িতে বসে শোভন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন পাশের সিটেই বসে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখীও। তবে তিনি কিছু বলেননি।
এই কয়েক বছরে অনেক কিছু বদলেছে। একটা সময় যে ঘন ঘন কাজিয়ায় জড়াতেন শোভন-রত্না, তা এখন সচরাচর হয় না। শোভন যেমন রাজনীতি থেকে অনেক দূরে, তেমন রত্না এখন শোভনের কেন্দ্রের বিধায়ক। তাঁর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। তবে যে দিন বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি থাকে, সে দিন একে অন্যকে বিঁধতে ছাড়েন না। বুধবারও কোনও ব্যতিক্রম হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy