E-Paper

জন্মগত ত্রুটি সারিয়ে সুস্থ হল চার দিনের শিশু

কর্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা মর্জিনা খাতুন ও মহম্মদমনিরুল ইসলামের এই সন্তানের জন্ম হয় গত ৫ অক্টোবর, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শিশুটির দুধ গিলতে সমস্যা হচ্ছে দেখে ইউএসজি করিয়ে জানা যায় জন্মগত এই ত্রুটির কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:২২

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অন্ত্রের জটিল সমস্যা নিয়ে জন্মানো সদ্যোজাতকে সুস্থ করে বাড়িপাঠালেন শহরের এক দল চিকিৎসক। তাঁরা জানান, ‘ইন্টেস্টিনাল ম্যালরোটেশন’ নামের জন্মগত ত্রুটি ছিল ওই সদ্যোজাতের।দুধ গিলতে পারছিল না সে। ফেলে দিচ্ছিল। চিকিৎসকেরা সমস্যা বুঝতে পেরেই সদ্যোজাতের চার দিন বয়সে ওই অস্ত্রোপচার করেন।

কর্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা মর্জিনা খাতুন ও মহম্মদমনিরুল ইসলামের এই সন্তানের জন্ম হয় গত ৫ অক্টোবর, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শিশুটির দুধ গিলতে সমস্যা হচ্ছে দেখে ইউএসজি করিয়ে জানা যায় জন্মগত এই ত্রুটির কথা।

কী এই ‘ইন্টেস্টিনাল ম্যালরোটেশন’? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভ্রূণ তৈরি হওয়ার সময়ে পেটের ভিতরের অঙ্গ পূর্ণতা না পাওয়ায় অন্ত্রের এই ত্রুটির কারণে সেখান দিয়েখাবার নামার রাস্তা আটকে থাকে। এই সদ্যোজাতের ক্ষেত্রে অন্ত্রটি এমন ভাবে পেঁচানো ছিল যে,দুধ খাদ্যনালি দিয়ে যেতে বাধা পাচ্ছিল। প্রতি বার স্তন্যপানকরানোর সময়ে শিশুটি পিত্তবমি করছিল।

উডল্যান্ডস হাসপাতালের শিশুরোগের শল্য চিকিৎসক অনীক রায়চৌধুরী বলেন,‘‘আমরা অস্ত্রোপচারের সময়ে অ্যাপেন্ডিক্সটি সরিয়ে দিই। কারণ, এটি এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। বিশেষ পদ্ধতিতে অন্ত্রের ত্রুটি মেরামত করা হয়। চার দিনের শিশুকে অস্ত্রোপচারের জন্য অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়াও ঝুঁকির ছিল।’’ অ্যানাস্থেটিস্ট উদয়ন বক্সী ও শ্রেয়া লাহিড়ী সেই দায়িত্ব নেন। অস্ত্রোপচারের পরে দশ দিন নিকু-তে (নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) শিশুরোগ চিকিৎসক পুলক কোলে এবংসব্যসাচী দাসের নজরদারিতে সুস্থ হয়ে ওঠে সেই শিশু।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

new born baby treatment

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy