মরিয়া: জল থেকে পা বাঁচানোর চেষ্টা। বৃহস্পতিবার, ভিক্টোরিয়ার সামনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
বর্ষা আসতে এখনও দেরি। তবে, বর্ষার ভোগান্তি ইতিমধ্যেই হাজির শহরে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফার বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হল শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা। এ দিন উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৯৭ মিলিমিটার। ওই একই সময়ে মোমিনপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৬৮ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৩৮ মিলিমিটার, চেতলায় ৩০ মিলিমিটার। পামারবাজারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪৫ মিলিমিটার। উল্টোডাঙায় ৩২ মিলিমিটার।
এ দিন বৃষ্টির জেরে ই এম বাইপাসের একাংশ রাত পর্যন্ত জলমগ্ন ছিল। পুরসভার নিকাশি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের অবশ্য সাফাই, নির্মীয়মাণ মেট্রো প্রকল্পই নাকি জল জমার অন্যতম কারণ। এ দিনের বৃষ্টিতে রাস্তার বিভিন্ন অংশের খানাখন্দ বেআব্রু হয়ে পড়ে। পুরসভা সূত্রের খবর, দুপুরে মোমিনপুরে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু রাস্তা দীর্ঘক্ষণ জলে ডুবে থাকে। এ ছাড়া, ৬৪ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু রাস্তাও দীর্ঘক্ষণ জলমগ্ন থাকে। যদিও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি তথা মেয়র পারিষদ অসীম বসুর দাবি, ‘‘৭০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রাস্তায় জল জমলেও আধ ঘণ্টা পরে তা নেমে যায়। অন্যান্য রাস্তা থেকেও জল দ্রুত নেমে গিয়েছে।’’ পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহের দাবি, ‘‘সোমবার রাতের বৃষ্টিতে জমা জল দ্রুত নেমেছিল। বৃহস্পতিবারেও বৃষ্টির জল তাড়াতাড়ি নেমেছে।’’
অন্য দিকে, এ দিন সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমল বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায়। পরে সল্টলেক থেকে জল নামলেও দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকে সুকান্তনগর এলাকায়। এ দিনের বৃষ্টিতে সল্টলেকের করুণাময়ী, ডিডি ব্লক, এফডি ব্লক, ইই ব্লক-সহ বিভিন্ন ব্লকের কিছু কিছু রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। সুকান্তনগর, নবপল্লি, নয়াপট্টির মতো সংযুক্ত এলাকাগুলিতে রাতেও জল জমে ছিল। বিধাননগর পুরসভার সল্টলেকের পুরপ্রতিনিধিরা জানান, নগরোন্নয়ন দফতর ইস্টার্ন ড্রেনেজ খালটি পরিষ্কার করার জন্য বাঁধ দিয়ে রেখেছে। যে কারণে এ দিন জল নামতে দেরি হয়েছে। সুকান্তনগর এলাকার পুরপ্রতিনিধি জয়দেব নস্কর জানান, নগরোন্নয়ন দফতরকে বাঁধ খুলে দেওয়ার জন্য এ দিন অনুরোধ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বাঁধ খুলে দেওয়া হবে। এ দিন সুকান্তনগরে পাম্প করে জল বার করার চেষ্টা হলেও তা বিশেষ কার্যকর হয়নি বলেই জানান জয়দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy