E-Paper

নেশার আসরের প্রতিবাদী খুনে অধরা অভিযুক্ত, মৃতের বাড়িতে মেয়র

গত মঙ্গলবার বাড়ির সামনে নেশার আসরের প্রতিবাদ করেন ধনরাজ প্রসাদ নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, আমজাদ দলবল নিয়ে সেখানে নেশা করছিল। বাধা পেয়ে আমজাদ ধাক্কাধাক্কি শুরু করে ধনরাজকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:১৬
খুনের ধারায় মামলা রুজু করে একবালপুর থানার পুলিশ।

খুনের ধারায় মামলা রুজু করে একবালপুর থানার পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

বাড়ির সামনেই নেশার আসরের প্রতিবাদ করে খুন হয়ে যাওয়া যুবকের বাড়িতে গেলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে বিহারের জামুই থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দ্রুত এই ঘটনার তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানাবেন বলেও দাবি তাঁর। যদিও ঘটনার পাঁচ দিন পরেও রবিবার রাত পর্যন্তমূল অভিযুক্ত আমজাদকে গ্রেফতার করা যায়নি।

গত মঙ্গলবার বাড়ির সামনে নেশার আসরের প্রতিবাদ করেন ধনরাজ প্রসাদ নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, আমজাদ দলবল নিয়ে সেখানে নেশা করছিল। বাধা পেয়ে আমজাদ ধাক্কাধাক্কি শুরু করে ধনরাজকে। মারতে মারতে প্রতিবাদীর বাড়িতেও ঢুকে পড়ে আমজাদ ও তার দলবল। অভিযোগ সেই সময়েই একটি চপার বার করে ধনরাজের গলা লক্ষ্য করে চালিয়ে দেয় আমজাদ। কিন্তু অল্পের জন্য গলায় লাগেনি। তবে ধনরাজের বাঁ বুকে আঘাত লাগে। এর পরেই চম্পট দেয় অভিযুক্তেরা। ধনরাজকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পরে বৃহস্পতিবার তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ধনরাজকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। সেখানেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরেই খুনের ধারায় মামলা রুজু করে একবালপুর থানার পুলিশ। আলি রাজা ওরফে শেখ নাসরু নামে এক জনকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। এ দিন ধনরাজের বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘পরিবারটা চলবে কী করে? খুন হয়ে যাওয়া ছেলেই একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। যা জানলাম, তাতে বিহারের জামুই বলে কোনও জায়গা থেকে এসে এখানে এই কাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে অনুরোধ জানাব, দ্রুত তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।’’ মেয়র বেরিয়ে যেতেই স্থানীয়দের অনেকেই একবালপুরের ওই অঞ্চলের বহু জায়গাতেই নেশার আসর চলার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের সকলেই বিষয়টি জানেন। কিন্তু দিনের পর দিন অভিযোগ করেও সেই পরিস্থিতি বদলায় না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ekbalpur police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy