Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মামলা লড়ে চাকরি

হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মিতালি ভট্টাচার্য (৫০) নামে বাঁশদ্রোণীর ওই মহিলা ১৯৯৮-এ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (দক্ষিণাঞ্চল) পরীক্ষা দেন। মিতালিদেবীর অভিযোগ, কমিশন পরের বছর প্যানেল প্রকাশ না করেই কয়েক জনকে চাকরি দেওয়ার সুপারিশ করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ১৩:০০
Share: Save:

টানা ১৮ বছর আদালতে মামলা লড়ে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেলেন এক মহিলা। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র ডিভিশন বেঞ্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওই নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ির দশ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও স্কুলে এক মাসের মধ্যে তাঁকে চাকরি দিতে হবে।

হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মিতালি ভট্টাচার্য (৫০) নামে বাঁশদ্রোণীর ওই মহিলা ১৯৯৮-এ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (দক্ষিণাঞ্চল) পরীক্ষা দেন। মিতালিদেবীর অভিযোগ, কমিশন পরের বছর প্যানেল প্রকাশ না করেই কয়েক জনকে চাকরি দেওয়ার সুপারিশ করে। তাঁর চেয়ে কম নম্বর পেয়েও কয়েক জন চাকরি পাওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হন ওই মহিলা।
আদালতে এসএসসি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্যানেল প্রকাশের এক বছরেরও বেশি সময় পরে মিতালি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাই ওই মামলা ধোপে টেকে না। হাইকোর্ট ২০০৯ সালে মহিলার আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পাল্টা মামলা
করেন মিতালি। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার মিতালিদেবীকে চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

High Court Job Woman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE