হোটেল বুক করতে গিয়ে সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন বছর পঁয়ষট্টির এক প্রৌঢ়। শনিবার পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, অনলাইনে পুরীর একটি হোটেলের ওয়েবসাইট খুঁজে সেখানে থাকা নম্বরে যোগাযোগ করেন। তাঁকে জানানো হয়, বুকিং বাবদ ৭০০০ টাকা পাঠাতে হবে। প্রৌঢ়ের অভিযোগ, ইউপিআই-এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য প্রতারকেরা একটি কিউআর কোড পাঠায়। সেখানে ৭০০০ টাকা পাঠানোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে চার দফায় প্রায় ৭০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এর পরেই প্রৌঢ় থানার দ্বারস্থ হন। বেহালা থানা এলাকায় একই ভাবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনিও অনলাইনে পুরীর হোটেল খুঁজছিলেন।
এক দিন আগেই গার্ডেনরিচ থানা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের সঙ্গে জামতাড়ার যোগ পেয়েছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে একই কায়দায় সাইবার প্রতারণার একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখার আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, অবিকল আসলের মতো ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। প্রতারকেরা ‘অ্যালগরিদ্ম’-এর কৌশল প্রয়োগ করায় মানুষ ওই সব সংস্থার ওয়েবসাইট সার্চ করলে ভুয়োটিই আগে দেখাচ্ছে। আসল-নকলের পার্থক্য বুঝতে না পেরে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
লালবাজারের তরফে অনলাইনে কিছু সার্চ করে বুকিং বা লেনদেন করার আগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এক কর্তার কথায়, ‘‘সাইবার অপরাধের তদন্ত পুলিশ করছে, কিন্তু মানুষ আরও সতর্ক হলে প্রতারণা আটকানো যাবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)