E-Paper

পুজো মিটতেই ফের পথে চাকরিপ্রার্থীরা

সল্টলেকের করুণাময়ীতে এবং শেষে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চলতে থাকে ধর্না-অবস্থান। সব মিলিয়ে ৯৫৫ দিন তাঁদের রাস্তায় কেটে গিয়েছে। অথচ, এখনও নিয়োগ হল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৪৬
representational image

—প্রতীকী ছবি।

দুর্গাপুজো মিটতে না মিটতেই ফের নিয়োগের দাবিতে শহরে শুরু হয়ে গেল চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসসি-র নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের ‘বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চ’ শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করে। চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, ২০১৯ সালে ধর্মতলায় প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্না-অবস্থানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল নিয়োগের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন। তার পরে সল্টলেকের করুণাময়ীতে এবং শেষে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চলতে থাকে ধর্না-অবস্থান। সব মিলিয়ে ৯৫৫ দিন তাঁদের রাস্তায় কেটে গিয়েছে। অথচ, এখনও নিয়োগ হল না।

এ দিন মিছিলে অভিষেক সেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী বললেন, ‘‘আমাদের প্রধান দাবি হল, নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের মেধা তালিকাভুক্ত সকল চাকরিপ্রার্থীকে অবিলম্বে সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগ করতে হবে।’’ অভিষেক জানান, সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগের বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। আগামী ৬ নভেম্বর ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে। তিনি বলেন, ‘‘সেই শুনানিতে যেন সরকার যোগ্যদের হয়ে সওয়াল করে এবং সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগের বিষয়টির যেন দ্রুত সমাধান হয়। এটাই আমাদের দাবি।’’ চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সরকার টালবাহানা করছে। সেই কারণেই এখনও সুপারনিউমেরারি পদে যোগ্যদের নিয়োগ হচ্ছে না।

চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, ২০২২ সালের ১৯ মে সরকার নবম থেকে দ্বাদশের জন্য সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করেছিল। কিন্তু দেখা যায়, ওই সুপারনিউমেরারি পদের তালিকায় যোগ্যদের পাশাপাশি অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদেরও নাম রয়েছে। ফলে ওই তালিকাটিকে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেই তালিকা কে তৈরি করেছে‌ন, তাঁর মাথায় কে আছেন, সবটা জানতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এর পর থেকে সুপ্রিম কোর্টে কয়েক বার শুনানি হলেও সরকারের তরফে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। যদিও শিক্ষা দফতর সূত্রের দাবি, সদিচ্ছার অভাবের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকারের তরফে আইন মেনেই সব কিছু করা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy